নিঃশব্দ বেষ্টনীর মাঝে গুমড়ে মোচড়ানো অসহ্য শব্দ কি,
কখনো তোমায় আমায় নাড়িয়ে তুলেছে?
অসহনীয় অসুখ আর ব্যাথা নিয়ে ঝুপড়ি ঘরে কাঁদে কে,
কখনো উঁকি মেরে দেখা হয়েছে দরজায়?
এই মরুর গরমে অসহনীয় ক্ষুধা কষ্টে রোদেপুরে হা হয়ে আছে কে,
কখনো কেউ ফিরে তাকিয়েছ?
বৃষ্টি, সিডর,আইলা কিংবা মহাসেনে খোলা আকাশের নিচে ভিজে গেছে কত নোনতা জল,
কখনো কি কান পেতেছ আঙিনায়?


এই অসহনীয়, যন্ত্রনাময়,রিক্ততা ভরা জীবনের খোজ আসলেই কেউ রাখে না।
ব্যথাতুর হৃদয়ের গানে কেউ কানও পাতে না।
লাঠি পেটা আর চর থাপ্পর এসব ভাগ্য অনুকূলে বাধা জলন্ত পৃষ্ঠায়!
ক্রমশ প্রকাশ্য দিবালোকে আমাদের নষ্ট খোয়া জীবনের বাঁকে বাঁকে অস্থিরতা।
একটু ভালোবাসা পাওয়ার কি আকুলতা,
মাঝে মাঝে মনে হয় এ তো ওর অধিকার, পায়না কেন?


কতটা চুপসে আছে চেহেরা,চোখ যেন কোটরে আটকে থাকা মার্বেল পাথর,
ধূলিকণা আর পঁচাবাসি নর্দমার উচ্ছিষ্ট অংশ যার বাচার শেষ অবলম্বন,
এ তো এমনই একটা বাক্সে ভরা জীবন।


শিউরিয়ে উঠে পশমের গোড়া,কই আমি আমরা আর ওরা!
খুঁজে ফিরি সামান্য সময় আবার ভুলে যাই ঘুমের ঘোরে।
তবে বিবেক নেই সমাজের,
অবহেলা অযত্নে চোর আর ছ্যাচড়া বনে গেছে জন্ম নেয়া মানব শিশু,
আজ সে ছোট্ট খোকাখুকি,টোকাই বনে গেছে।
প্রকৃতির ভিন্ন আলো যেন ওদের উপর তাই আলাদা হয়ে গেছে ওদোর দুনিয়া!
এদের অংশে আলো পরে না,চাঁদ ও ওঠে না, শুধু অমাবস্যা দিয়ে ঘেরা।


এই সভ্যতা, অগ্রযাত্রায় সহযাত্রী করে না এদের,
তাই ওরা মেনেই নিয়েছে,
পৃথিবীর পথে ওরা নিছক টোকাই।




চিটাগংরোড, হীরা ভবন
৩০/৮/২০১৩