তাহারে পলকে রাখি, হাওয়ায় ধূলোয় মিশিয়ে নিয়ে চলি তেপান্তর ,আমার ঘর মুল্লুক , মনের স্রোতধারায় !


আখি নিভে যাক বাসরের চাদ রাত ,পক্ষী ডাকুক সাঝবেলায়, বাদুরের চিৎকার শুনি, এই সূর্যডাকা মোরগের ডাক;
একটা জমানো মায়ায়।


তাহারে বসিয়ে রাখি মুখ্য মোনাজাতে, শিকড়ে ঢালি জল
সে তরতাজা হয় মনের কপাল ফোঁটায়,


সে স্বপ্নের মতন এসে গিয়ে ফুলবসন্ত ছড়ায়, মৌ মৌ রব কহিনু সে রঙিন আভাস, প্রিয় চৈতন্য, আমার ঘুম
আমার সূর্যোদয়;
চিন্তার ঘাম ছোটায়।


এক যৌবনে কোকিলের ডাক,ঝিমিয়ে গিয়ে মজুদ করি সৌর তাপ,
কি জানি কোনকালে কোন প্রয়োজন হয়,


তুমি তো রাখিলে আমায় বেঁধে ভাগ্যে সুতোয়, কপালের টিপ চাপা দিয়ে আায়নায় রাখি মুখ, দু'জনের সাক্ষাৎটা দারুণ,
অগোছালো আলোয়;
এভাবেও ভালোবাসা যায়।


সঞ্জীবনী মন্ত্রে জাগিয়ে রাখি কুয়াশায়, তাহার পায়ের মাদল ছাপ,কোমড়ের নিত্য ছোঁয়া,


জগতের নিস্ফল আবেদন শিকোয় তোলা, একগুচ্ছ কদম হাতে তবু তার দিকে তাকিয়ে রয় আগামী, সাদাকালো সব মেঘ,
কবিতার উপসংহার;
সে আমার শেষ পাওয়া।





টঙ্গী রেল স্টেশন
১৪/৬/২২