সেই সন্ধ্যায় মাখামাখা চোখের জলে নোনতা আভাস, লেবুর টক মিশে গিয়ে রংধনুর রংয়ে ছিটেফোঁটা এসিডিও কান্না নেমে আসে ঢালু রাস্তায়!
ঢেকুর আসুক,মুখ বলুক;কখনোই তোমার গায়ের গন্ধে চাদরে মাদূরে হাঁটু পেতে বসতে চাই না,
অকালের বৃষ্টিতে ভিজতেও গা ঘিনঘিন পরে ঝিমঝিম, তারপর অদ্ভুত খিল।
হরহর গরগর করে মুখে তিতা থুথু নিক্ষেপ করি জানালায়,আমার আক্ষেপ কমে তৃষ্ণা বাড়ে মমতায়!
এবার বের হয়ে যা,হোক কোলাহল তবু তুমি তুই কেউ নেই বালুকায়।
লেখা নাম জোয়ারে ভেসে গেছে! অস্থায়ী ভাস্কর্য প্রেম।
জানি আঙুলের গিলে খাওয়া প্রেম আর নেই, অন্য কেউ,অন্য সময় পরিপূর্ণ আবদার;
পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীর শাখা প্রশাখা নেই প্রেমের গাঙে।
জমজ হাঁটে একই নীহারিকা নহরের চাপে বাঁধ ভাঙা উল্লাসী তুমি প্রিয়তমা! জানি এই প্রস্তর খন্ড ভেঙে ঢিল ছুড়েছ তুমি, প্রেমিকের গায়।
উপশহরে হালহকিকত গাঙের পাড় ভাঙার মত একপাড় ছেড়ে অন্যপাড়; আমি নেই, আমার বসবাস মধ্যখানে।
নাক,গলা,কান,চোখ সব বন্ধ, আমি দেখিনা শুনিনা বলিনা তোমায় চিনিও না।
নাকের আগায় গন্ধ ভাসলে নাক বন্ধ করে দেই,কানে শব্দ আসলে অন্যমনস্ক হয়ে যাই,গলায় একফোটা তৃপ্ততা গিলি না,
আমার সব আছে,আমিই শুধু নাই।




নিরিবিলি, নবীনগর
৯/৬/২০২১