সেই কবে বিভোরে ঘুমিয়েছি কতদিন আগে
স্নিগ্ধ বিকেলের মত যখন শরতের আকাশে ছিল শুধুই নীল-
সন্ধ্যায় ঝিঁঝিঁরা তখন ডেকে যেত নিঃশঙ্কোচে নির্বিঘ্নে,
শুধু চোখ মেলে তাকিয়ে থাকতো ধ্রুব তারাটি,
মাঝে মাঝে রাত্রি গভীর হলে নিশি জাগা পাখির ডানা ঝাপটানোর শব্দ কানে বাজতো-
ডাহুকের বিরহ বেদনাও কখনো কখনো,
তাতে করে ঘুম ব্যহত হয়েছে
এমনটি মনে পরেনা,
অনিকের সাথে জোছ্না স্নান করবো বলে বাজিতে হেরেছিলাম
সেও আমি-
জিতে গিয়েছিল অনিক আর ঘুম,
আর আমি পরাজিত লজ্জিত সৈনিকের মাল্য পরেছিলাম।


এখন আমি নির্ঘুম নিশি জাগি -
রাতের পর রাত
কত রাত তার হিসেব অনেক বড়,
রোজ নিশি জাগা পাখির পাখা ঝাপটানির শব্দ শুনি স্পষ্ট-
ডাহুকের ডাক, পেঁচার ঝগড়া,
হারানের মার ছেলে মরার কান্না,
রাস্তার পথচারির ভয় তাড়ানী সঙ্গীত সব শুনি।
রাতের আকাশের তারাও গুনি
রাতের প্রহর হিসেব করি তারকা দেখে,
বছরে প্রতিবেশির মুরগির ঘর থেকে কতটি মুরগি খাটাশে ধরেছে তাও বলে দিতে পারি একেবারে নির্ভুল,
অথচ- যখন তুমি বোকার মত প্রশ্ন করো
কেন তুমি ঘুমাও না?


আচছা তুমিই বলো -
ঘুমানোর কি এমন কারন আছে আমার -
আমার তো না ঘুমিয়ে ফোলা চোখে থাকতেই মানায় ভাল,
কাজল বিহীন কালি পড়ে চোখের পাড়ে-
প্রচন্ড বেদনায় টনটন করে মাথা, কপাল,ঘার
তাতে মন্দ কি বলো?
সবচেয়ে বড় সত্যিটা জেনে নাও
সাগরিকা
তোমার নিশ্চিন্ত ঘুমকে উপলব্ধি করতেই জেগে থাকি
জেগে থাকবো কথা দিলাম।
আমি ঘুমালে তোমার ঘুমটা কে দেখবে, কে বুঝবে বলো?
শুধু এটাই জেনে রাখ আমি এক নিশি জাগা পাখি।
    ***