শরতের আকাশেও ঘন কালো মেঘ
ঠিক তোমারই কৃষ্ণবর্ণী কেসের মত
আমার হৃদয় কোনে ঝড় তোলে,
শ্রাবণের বর্ষন ঝরে বিরতিহীন আঁখি পাতে
খোলা বাতায়ন ভেদ করে দৃষ্টি মেলি
আজি বাহির পানে অপলক চেয়ে দেখি
শেষ বিকেলে আমড়া গাছের ফাঁক গলে পড়ন্ত সূর্যের এক চিলতে সোনালী কিরন।
হালকা বাতাসের স্নিগ্ধতায় সে যেন
অথৈ সাগরে ডুবে যাওয়ার পর এক
খণ্ড ভাসমান কাঠ-
বেঁচে থাকবার শেষ অবলম্বণ।
তবু ভয় হয় অলকা !
ঘর পোড়া গরু যেমন সিঁন্দুর রাঙা মেঘ দেখে পায়,
মনে আছে তোমার ?
সেবার শ্বারদীয় উৎসবে
কুণ্ডু বাড়ির প্রতিমা বিসর্জনে
ঝিঁ ঝিঁ ডাকা সন্ধ্যাকালে
বাবুদের পুকুর পাড়ে আমার বুকে
মুখ লুকিয়ে বলেছিলে -
এসোনা কোথাও হারিয়ে যাই ।
জানি আজ  বেমালুম ভুলে গেছ সব
এখনো কুণ্ডু বাড়ি প্রতিমা গড়ে
শ্বারদীয় উৎসব হয়
বিসর্জনও হয় সেই পুকুরে  
শুধু স্মৃতিগুলো আমারে কাঁদায়
তবু এতটুকু দুঃখ নেই-
সব কিছু কেমন যেন সহজ হয়ে গেছে
ভালবাসা কবে যে প্রতিমার মত
বিসর্জন হয়ে গেল
সেটাই আমার জিজ্ঞাসা
যার উত্তর আজো খুঁজে ফিরি
বোবা কান্না হয়ে ফিরে আসে
তীর বত বুকে বেঁধে
নিরব রক্তক্ষরণ জমাট বেঁধে আছে
যে যন্ত্রনা শুধুই আমার।
       ****