চন্দনা- কেমন আছ জিজ্ঞাসা করবোনা
জানি উত্তর দেবার মত সময় তোমার নেই
বলবোনা কোথায় আছ ?
হয়তো সে অধিকার আমার একেবারেই নেই।
বলছিনা তোমার সাজানো বাগানটি দেখতে কেমন
তাতে কতটি গোলাপ ফুটেছে,
সেটা হবে আমার অনধিকার চর্চা,
আচ্ছা চন্দনা তোমার বাগানেই সকালের সূর্যটা বুঝি প্রথম আলো দেয়!
তোমার পুষ্পিত বাগানে অন্ধকার
একেবারেই বেমানান,
দুঃখিত চন্দনা - কি ভুলটাই না হয়ে গেল
অযথাই বেফাঁস প্রশ্ন করে ফেল্লাম।
জানো চন্দনা- আমার রোপিত সেই কামিনী গাছটিতে গত বসন্তে
শুভ্র ফুলে টই- টুম্বর ছিল
বাতাস ভারী করা গন্ধে অগণিত
পতঙ্গ ছুটে এসছিল,
সূর্যের বিরতিতে , সন্ধ্যার অন্ধকারে
আমার খোলা বাতায়ন ভেদ করে ছোট্ট ঘরটিও বাদ পরেনি একেবারে।
মনে পরে চন্দনা?
তুমি বলেতে একদিন দেখবে বরুনার মত আমার বুকেও অমনি গন্ধ বেরুবে,
কি বেরসিক আমি
তোমার কি সে-সব স্মৃতি মনে রাখার দরকার আছে বলো !
অযথাই বিরক্ত করছি।
তোমার বুকে এখন অবিনাস ঘোষের কাঁচা টাকায় কেনা প্যারিসের পারফিইমের গন্ধ।
প্রতি বসন্তেই কামিনী গাছে ফুলফুটে - গন্ধ ছড়ায় ,ঝরে পরে
সাদা চিকন পাঁপড়িগুলি
আমারি চোখের সামনে শুকিয়ে যায় অপলক তা চেয়ে চেয়ে দেখি।
বুকের মধ্যে জমে থাকা স্বপ্নগুলিও ঝরে পরে অকাতরে
চোখের জলও বুঝি শুকিয়ে গেছে তেমনি করে।
এখন চন্দনার পাড়ে দাঁড়িয়ে দেখি
মরে যাওয়া এক নতুন চন্দনা।।
          ******