তোমার দীপ্তিমান আঁখির জ্যোতি আজো গেঁথে আছে মনের গহীনে
বহ্নি শিখার মত উদ্ভাসিত যেন সে শিবপত্নী অন্নপূর্ণা,
বাঁকা চাহনিতে ঠিক তৃতীয়া তিথির সুধাকরের মত
বাসন্তী কোকিলসম সরস যৌবনা তুমি অপরূপা।
সুরেলা কণ্ঠে গেয়ে যাও মনোহর যত সব বন্দনা সঙ্গীত
কান পেতে শুনি, গভীর তন্ময়তায়, ডুবে যাই ক্ষণকাল।
সুগন্ধি চন্দনে তুমি চন্দ্রাবলীর ছায়া -চিত্ত ব্যাকুল মোর,
গিরি কন্দর বনে খুঁজি নিশিদিন মথুরা পুরীতে আহা,
এখন শুনি তোমার কপট হাসি- জ্বলে মোর হিয়া,
হৃদয় বিদীর্ণ আজি বিরামহীন রক্তক্ষরণ কে আর দেখে।
কুমোরের জলন্ত চুলার মত জ্বলে অগ্নি দাউদাউ সতত দেহে,
সে আর বুঝিবে কি তুমি? সে আমারই হবে সওয়া।
তৃষিত চাতকের তৃষ্ণা সে কেবল তারই অনুভব
পুড়েনি যার ঘর সে কি করে বুঝিবে বাস্তু হারার ব্যথা।
অসীম সুখের পরসে তোমার বাস, সাজানো পুষ্পিত বাগিচা
কষ্টের অমৃত সুধা সে আর তোমার হবেনা কভু বোঝা।
****