আমি আর কোন গাঙচিল নই
সমুদ্রের সফেন তৃষ্ঞা জাগে না আমার বুকে,
অরণ্যের ছায়াতে দেখি হায়নার ক্ষুধার্ত ছায়া -
জীবনের স্বপ্নগুলি মিশে যায় ধূসর সন্ধালোকে।
বুভূক্ষ মানুষগুলি রাজপথে স্লোগান তোলে সামান্য দাবী নিয়ে,
লাঞ্ছিত নারীর অব্যক্ত ভাষা কেঁদে ফেরে ভোরের বাতাসে ,
স্বপ্নের সিঁড়িগুলি ভেঙ্গে যায়।
উঠানের কোনে একটি সতেজ গাছ
কী সুদৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে বেড়ে উঠে সূর্যের দিকে-
সমস্ত ভালবাসা বিন্দু বিন্দু করে উৎসর্গ করি ।
তারপর ?
এক প্রসন্ন সকালে দেখি ওতে করবী ফুল,
একটি গভীর বেদনাবোধ উৎসারিত হয়-
গাঙচিলের মত একটি সকরুণ কান্না এসে বাজে ।
পাখার ছায়া এসে পরে
জলে নয় -
একেবারে হৃদয়ে গভীরে।
আমি এক ক্লান্ত নাবিক
হাতের গ্রন্থিগুলি যেন-
নিঃষ্ক্রিয় শিথিল পরাভূত।
এখন আর উপচে পরা তরঙ্গের শব্দ নয় -
কানে এসে বাজে গাঙচিলের
করুন কান্না।
         *****