জীবনের অজস্র দুঃস্বপ্নের ভীরে হারিয়ে গেছে সুন্দরের স্বপ্নগুলো
সহস্র দুঃসহ বেদনায় পরাভূত, পরাজিত সৈনিক আমি;
পাথর চাপা কষ্টগুলো দীর্ঘ সময় পর বিদ্রোহ করতে চায়,
উদ্বেলিত, উচ্ছাসিত, উদ্ভাসিত হতে বিরত রাখি
কী হবে আর বিদ্রোহের আগুন জ্বেলে!
বরং নিরাময়িত ঘাকে খুঁচিয়ে রক্ত ঝারানো
যন্ত্রনাকে আরো শতগুণে বাড়িয়ে নেয়া।
আমি এখন উছিষ্ট আবর্জনার স্তুপ,
উৎকট গন্ধ ছড়াই দিক্বিদিক- আর ঘৃণায় নাক সিটকাও তোমরা,
অথচ একদিন আমিই ছিলাম ভোরের আকাশের মত নির্মল স্বচ্ছ।
মরা নদীর মত জীর্ণ - শীর্ণ অবয়বে কিচমিচের মত কুঁচকে গেছে ত্বক
ঝুলে গেছে বুড়ো বট বৃক্ষের শেকড়ের রূপে।
তুমি এখনো ফুটন্ত পোলাপের পাপড়ি অনন্যা,
নিটোল শরীরে কস্তুরীর সুগন্ধে মুখরিত চারিদিক,
ঘন কালো কেশপাশ ঠিক মৌমাছির ঝুলন্ত ডালা।
গোলাপি ওষ্ঠ যুগল টসটসে আঙ্গুরের মিষ্টতায় পরিপূর্ণ।
মেদহীন অপূর্ব দেহখানি ঠিক কুমোরে গড়া দেবী;
মোটা লেন্সের চশমায় দেখেছি পোড়াদহ রেলওয়ে জংশনে,
সুশান্ত বাবুর হাত ধরে রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেন উঠছিলে যখন;
অপলক চেয়েছিলাম, কী দারুন মিলেছো দুজন!
শুধু ভেবেছি কত বদলে গেছো তুমি।
            ***