একা একা এই পথ ধরে চলেছি কতদিন
না জানি কোথায় ইহার শেষ ,
টোকনাফের সৈকত হতে -
সিলেটের নীলাভ পাহাড় অবধী,
কূয়াকাটার সূর্যাস্ত থেকে -
চিত্রা নদীর তীরে এসে দাঁড়িয়েছি।
সন্ধ্যার শীতল বাতাসে ভেসে এসেছে
মাধবী শঙ্খের সকরুণ ধ্বনি,
চুলের গন্ধ তার পেয়েছি নাকের কাছে ,
সুপ্ত ভালবাসা গুলি গোলাপের মত-
ভোরের আলোতে ভেসে উঠেছে।
রৌদ্রুদগ্ধ ধরণী যেমন-
বৈশাখের প্রথম বর্ষণে উজ্জীবিত
পৃথিবীর কেউ তেমন করে টানেনি কাছে
যেমন করে মাধবী আমায় টেনেছিল।
শ্রাবণের বর্ষণকা্লান্ত জনহীন অধোমুক্ত দ্বারে ,
পৃথিবীর সব সুখ যেন -
আটকেছিল তার মেরুণ রঙের জর্জেট শাড়ির ভাঁজে,
তার হাতের পরশ পেয়েছি বলে
স্বর্গেও চাহিনা যেতে।
ছাতিয়ান গাছের পাশ হতে-
মাধবী যেমন করে ডেকে ছিল
কেউ আর কোনদিন ডাকেনি তেমন করে,
পৃথিবীর সব সুর যেন-
মিশেছিল তার কণ্ঠে এসে।
মাধবীর মত করে বিধাতা গড়েনিক -
আর কারো চোখে,
মরিতেও পারি এমন চোখের জলে
পৃথিবীর সব রূপ যেন মাধবীর মুখে।
           ****