এতুটুকু পারিনি ঘুমোতে সারাটি রজনী কেটেছে জাগি
সহস্র ভাবনার বেড়াজালে আটকে গেছে সুন্দরের স্বপ্নগুলি ;
নীশিজাগা বিহঙ্গের পাখা ঝাপটানোর শব্দগুলি স্পষ্ট কানে বাজে,
কাঁঠাল পাতা বেয়ে  টিনের চালে শিশিরে বিন্দুঝরে পরে বিরতিহীন।
অসুস্থ  বৃদ্ধা হাসুর দাদীর গলাকাঁপা আত্মবিলাপ কানে এসে বাজে,
খড়ের গাদায় কুকুর ছানা থেকে থেকে ডাকিছে বিশ্রী ,
কি জানি ওদের মা কোথায় এই রাতে ?
বাইরে ভীষন অন্ধকার তারপর কূয়াসায় ঢেকে গেছে সব
প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাইরে এসে নিজেকেই খুঁজে মেলা ভার।
কম্বলে মুখ লুকিয়ে হাজারো প্রশ্ন করেও সহজ উত্তরটি আর খুজে পাইনা,
যে প্রশ্ন করে রেখেছ কাল বিকেলে,
জানি বিশ্বাস করবেনা তুমি কতটা ভালবাসি, কেমন ভালবাসি;
তার কি আর মাপকাঠি আছে যে ওজন করবো ?
সূর্য যেমন ভালবাসে সবুজ ঘাসের বুকে সকালের আলো ফেলে,
সাগরের বুক জুড়ে যেমন জলরাশি-
পরম আদরে হাজারো বিপদ সংকুলে যেমন পাখিগুলি আগলে রাখে ডানার আড়ালে তার ছানাগুলি,
ঠিক তেমনি করে আগলে রাখি,  ভালবাসার জালে।
আজ আর নয় আঁখি দুটি আলসতায় বুঁজে আসছে
ঝিঁনুকের আটকে যাবার মত,
জানি তুমি ঘুমিয়ে আছ নিঃশ্চিন্তে নির্ভাবনায়।
চারিপাশে সুনসান, বিহঙ্গের পাখা ঝাপটানিও থেমে গেছে
শুধু টিনের চালে টুপটাপ শিশিরের বিন্দু ঝরছে অবিরাম
আমার আঁখিতেও কিছু।
          *****