প্রতিমা বিসর্জন হয়েছে গত সন্ধ্যায়
ফুল,জল,সিঁদুরের আবির রাঙিয়ে,
কত ঢাক ঢোল পিটিয়ে- ভক্তের শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায়।
কিন্তু আমারও যে প্রতিমা বিসর্জন হবে তা বুঝতেই পারিনি একদম,
সে বিসর্জনে ধূপ-ধুনা নয়,  
কোন ঢাক-ঢোল, কিম্বা সিঁদুরের আবিরও নয়,
ছিল শুধু অশ্রুজল।
নিরব বেদনায় হৃদয়ে ছিল তপ্ত রক্তক্ষরণ
যা দেখাবার নয়, দেখানোরও নয়।
আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের  লাভার মত -
হৃদপিণ্ডের চারিপাশে জমাট বেঁধে আছে সে ক্ষরণের লাভা ।
দত্তবাড়ির প্রতিমা যখন চন্দনায় বিসর্জিত হয়
ঠিক তখন আমার প্রতিমাও বিসর্জিত হল আমারই সম্মূখে,
আর আমি শ্মশানঘাটের বুড়ো বটতলায় দাঁড়িয়ে চেয়ে চেয়ে দেখলাম অপলক।
দত্তবাড়ির প্রতিমা চন্দনার জলে
আর আমার প্রতিমা নবারুণ বাবুর বুকের মাঝে।
দত্তবাড়ি আগামী শারদে আবার প্রতিমা গড়বে কোন দক্ষ কারিগর
ভক্তরা অঞ্জলি দেবে ভক্তিভরে
প্রদীপ জ্বালাবে, ধূপ-ধূনায় আরতিতে মেতে উঠবে মন্দির,
আমার হৃদয় মন্দির থাকবে নিকষ অন্ধকারে ঢাকা।
            ***