তোমাকে প্রথম দেখেছি গোলাপী বসনে  নিষ্পলক,
মোহনীয় মায়াবী হরিণীর চাহনি,
কমনীয় ওষ্ঠ যেন আর্দ্র পেলবতায় রসসিক্ত।
নিটোল নিখুঁত মশ্রিণ মুখটি ঠিক
জীবনানন্দের শ্রাবস্তীর কারুকার্য ;
অশান্ত কুন্তল কাশফুলের মত দোল খায় দক্ষিণা বাতাসে,
সে এক নেশাধরা মাদকতায় মাতায় মন।
লিওনার্দের আঁকা মোনালিসার রহস্যময়ী নিরব হাসির নিদর্শন,
যে রহস্যের তল খুঁজে মেলা ভার।
আমি গভীর তন্ময়তায় ডুবে যাই
টাইটানিকের মত।
জসীম উদ্দিনের রূপাইয়ে কচি লাউয়ের মত বাহুযুগল
উজ্জ্বল- নির্মল ত্বক ঠিক যেন আরশি,
অবিকল চেহারা স্পস্ট দেখা যায় অবিকৃত।
তোমার নিঃশ্বাসের গন্ধ প্যারিসের স্যালিস পারফিউম-
নেশায় বুঁদ হয়ে যাই একদম।
আলতা রাঙা পায়ের পাতা তোমার,
সবুজ ঘাসের আঘাতেই বুঝি রক্ত ঝরে।
গলায় পরা নেকলেস ঠিক মিশে গেছে শরীরের বর্ণে
যা গড়েছে কারিগর অন্য কারো নয়-
শুধু তোমারই  জন্যে।
অন্য কোন রমনীর  সাথে তুলনীয় নও যে তুমি,
নও বনলতা,
নও মোনালিসা কিম্বা ক্লিওপেট্রা ,
তুমি যে মোর মানস প্রতিমা
হৃদয়ে রাণী হেলেন;
তুমি আমার হৃদয় অম্বরে স্বর্গের অপ্সরী।
    ***