(শোক দিবস স্মরণে)
------------------
শান্ত পৃথিবী
নিরব নিঃস্তব্ধ সেই রাত
নিশি জাগা বিহঙ্গরাও বুঝি ঘুমিয়ে ছিল ,
শ্রাবণের জলও ঝরেনি এক ফোঁটা
বৃক্ষ শাখে ধ্বনিত হয়নি পূবালী কিংম্বা দক্ষিনা বায়ুর সঙ্গীত
কবির কলমও থেমে গেছে অসমাপ্ত পান্ডুলিপির উপর
শহরের বুকে মোটর যানের চাকাও থেমে ছিল পরিশ্রান্ত, ক্লান্ত
কই শব্দ পাইনিতো !
ঝিঁ ঝিঁ পোকাড় ডাকও বাজেনি কানে।
স্বপ্নেরও কি বিশ্র আচরন !
ভুল করে দেখাও দেয়নি একদম ,
অথচ কত রজনী কেটে গেছে
ভয়ঙ্কর স্বপ্ন ভঙ্গে
আঁখি দু'টি আর লাগেনি জোড়া।
সুবেহ সাদেক
একটু বাদেই নামবে ধল প্রহর
উঁচু মিনার থেকে কম্পিত কন্ঠে
ভেসে আসে আজানের ধ্বনি
অন্য ভোরের মত নয়
এ যেন এক নিঃষ্ঠুর নির্মম ভোর
অসুরের তাণ্ডব
বিহঙ্গের সুরেলা কন্ঠের ভোর নয়
আতঙ্কিত কান্না
এলো মেলো উড়াউড়ি-দিক বিদিক
সারা পৃথিবী জুড়ে উত্তাল ভূমিকম্প
ভয়াল মটর যানের শব্দ
বিরামহীন বুলেটের তীব্র আওয়াজ
তারপর-
কানাকানী ,ফিসফাস
বুকে পাথর চাপা কান্নার ছাপ
ছাড়াবড়া চোখে নিঃশব্দ শ্রাবণের বাড়ি
গভীর ভারী বাতাস।
সেই কবির বুকে অসংখ্য ছিদ্র
শুধু বুকে নয়
মাথায়
ঘারে
পিঠে
পেটে
পায়ে
গোটা শরীরময়
জামাল, কামাল, রাসেল, কবির স্ত্রী,
আর
আর সবাই
এক সুমদ্র রক্তের স্রোত ধারা ৩২ নং রাস্তা প্লাবিত।
রেসকোর্সের সেই কবি
ছয় দফার কবি
উনসত্তরের রাজ পথের কবি
সত্তরের বিজয়োল্লাসের কবি
করাচী কারাগারের সেই কবি
লাল সবুজের পতাকাবাহী সেই কবি।
আজ হায়নার আক্রমনে
জল্লাদের কবলে
শকুনের চঞ্চুতে
ক্ষত বিক্ষত
নিভে গেল কবির জীবন প্রদীপ
কলঙ্কিত হল ১৫ আগষ্ট।
নেভেনি কবি কন্ঠেরেই সেই
বজ্র ধ্বনি
শোক হল আজ শক্তি।
      ****