তেল তুমি কথা রাখনি
অবিরাম কচি বাঁশের মত বেড়ে উঠছো তরতর করে,
ঠিক অখিলের কিশোরী মেয়ে সোনালীর মত;
কোন রাখ-ঢাক না মেনেই।
পাড়ার ছেলেরা তাই বুঝি উঁকি দেয় সকাল সাঁঝে।
নরেশের মুদির দোকানে খুব ভিড় জমে আছে,
তোমার অপার মহিমার কারণেই বুঝি তুমি এত মূল্যবান ;
স্রষ্টার পরেই তোমার অবস্থান,
তুমি বিনে কার্যসিদ্ধি একেবারেই বেমানান।


শাবান শ্যাম্পু ছুঁয়ে দেখতে গেছে মোর জ্যাঁঠা
চাল ডাল আটার বাজারে পরেছে ঠা ঠা,
মরিচের ঝাল- পিঁয়াজের ঝাঁজ
জুতা স্যান্ডেলেও পরেছে ভাঁজ।


জামাই এসেছে বহুকাল পর বরুণের
ডিম,দুধ,ঘি দরকার ও পরানের,
থলে হাতে গেলো বেচারা পাংশার হাটে,
ওমা কিছুই কেনা নাহি তার খাটে!
জামাইকে খাওয়াতে হবে ভালো
তাই মাছ মাংশ কেনো।
গেলো বেচারা কসাইয়ের কাছে,
দেশি মুরগী সাত আর খাশি আট
দাম হাঁকার সে কী ঠাট,
উপায় না পায় খুঁজি;
কি করিলো এবার শোনো-
লগ্নিদার অনিমেষ হাটেই ছিল
তারে বলে কিছু টাকা ধার নিলো।


কাল বৈশাখী ঝড়ে কাদুর ঘরটা গেলে পরে
খান দুই টিন কিনতে গেলেন হাবাসপুরে,
দোকানী দাম হ্যাঁকিছে যেই
বাপুর হারিয়ে গেলো খেই।


হিসাব করে দেখলাম আমি শেষে
শুধু তেল নয়
বাজারে কেউ কথা রাখেনি কারো সাথে।
  ***