কর্মক্লান্ত দিন শেষ হয়ে আসে পড়ন্ত বিকেলে
শেষ রোদটুকু টিনের চালের উপর থেকে নিঃসৃত,
রক্তিম সূর্যটা যেন মেঘের উপর ছড়িয়ে পড়া কোন এক ললনার টীপ।
ধূসর গোধূলি এখন আর হৃদয় কে স্পর্শ করে না,
সে এখন শুধু দেয়ালে ঝুলানো কাঁচে বাঁধানো ছবি।
কালো ধোঁয়া ফেলে পাওয়ার টিলার গুলো ঘরে ফেরে -
পাথরের পাঁজর কেঁপে ওঠে সকরুণ শব্দ তার;
ছাইরঙা হাঁসগুলি পুকুরের পানা ঢাকা হতে  পরিচিত পথ ধরে ফিরে আসে আপন নিলয়ে,
দক্ষিণের মসজিদ হতে মুয়াজ্জিনের আযানের ধ্বনি কানে এসে বাজে,
মুসল্লিগণ ছুটে চলে আতরের সুগন্ধ লাগে নাকে।
পাশের বাড়ির নবনীতা দুই হাতে চেপে বাজায় শঙ্খ,সকরুণ শব্দ তার ভেসে আসে সন্ধ্যার বাতাসে।
সৌন্দর্যের রেখা ফুটে ওঠে ওর জর্জেট শাড়ীর  ভাঁজে ভাঁজে,
শঙ্খটা  মনের মাঝে এখনও রয়েছে বাসা বেঁধে, ছেলে তার এখনও ফেরেনি ঘরে।
সেই কবে গেছে ভার্সিটি -শীত বয়ে যায়, খেজুর গুড়ের পিঠা এখনো হয়নি বানানো
বাঁশমতি ধানের চাল গুলি হাঁড়ির ভিতর জটা ধরে গেছে।
ভাবে মনে- জিন্সের প্যান্ট পরা ছেলে তার ডাকবে পিছন হতে -
' কেমন আছো মা?
ভালো ছিলে তো? '
আনন্দে ভরে উঠে চোখ দুটি তার।
সন্ধ্যার ছায়ায় দেখেছি সেই মুখখানি তার
হাজার বছরের স্বপ্ন যেন ছুঁয়ে আছে মনে
শত সহস্র শব্দের ভীড়ে এ ডাক শুনেনি  যেন।
    ***