একটি কবিতার জন্মদিতে কতটা সময় লাগে আজো জানিনা,
তোমাকে নিয়ে লিখবো বলে কতবার বসলাম।
গোলাপী আল্পনায় আঁকা সেই প্যাডটা খুলি
জেল কলম হাতের আঙ্গুলে আটকে ধরি,
ভাবটা মনের মাঝে উঁকিঝুঁকি দেয় বার বার-
তবু একটি শব্দও খুঁজে পাইনি,
শুধু তেমাকে নিয়ে লিখবো বলে।
বিশ্বাস করো আর নাইবা করো -
তোমাকে নিয়ে  যেনতেনো শব্দের মালা গাঁথি কি করে?
তা কি হয় বলো?
বিশ্বাস করো আর নাইবা করো
কত উপমা খুঁজেছি-
তোমার অশান্ত কুন্তলের,
তোমার উন্নত বঙ্কিম নাসিকার,
তোমার গোলাপী ওষ্ঠের,
তোমার নিটোল মুখের মিশকালো তিলটির বর্ণনা দিব বলে।
সবুজ বৃক্ষের নব পত্র-পল্লের কাছে খুঁজেছি
তোমার সজিবতার ত্বকের উপমা;
সাগরের বিস্তর জল রাশিতে খুঁজেছি তোমার হৃদয়ের গভীরতার উপমা,
বিশাল নীলাকাশ পানে অপলক দৃষ্টিতে খু্ঁজেছি -
তোমার ভালোবাসার উপমা,
পূর্ণিমা নিশিতে শশীর চাঁদনীতে খুঁজেছি তোমার সৌন্দর্যের উপমা।
কোকিলের সুরে খুঁজেছি তোমার সুললিত কণ্ঠের মধুরতা,
পায়রার হেঁটে চলায় খুঁজেছি তোমার চলার ছন্দের গতিময়তা।
পদ্মার পাড়ে দাঁড়িয়ে ভাঙ্গণের মাঝে খুঁজেছি তোমার ধৈর্যের
পারঙ্গমতা,
তবু মনে হয়,যেনো কিছুই হলনা লেখা।
সকালের সূর্য করে সবুজ ঘাসের উপর শিশিরের বিন্দু যেমন  চিকচিক করে
ঠিক তেমনি দন্ত পাটির হাসির উপমা আমি কোথায় খুঁজবো বলো?
সহস্র কাজের শেষে ক্লান্ত হয়ে যখন তোমার বুকে মাথা রেখছি
মনে হয় নব উদ্যাম পেয়েছি ফিরে,
তার উপমা কোথায় মেলাবো বলো।
তোমাকে নিয়ে কোন নতুন কবিতা নয়
তুমি নিজেই কবিতা।
   ***