আমর-ইবনুল-আস নির্দেশে উমরের
নিয়োগ প্রাপ্ত হন শাসক মিশরের ।
আমরের ছিল এক পুত্র দুরাচার
কাউকে করিত না কিছুতেই কোন ডর ।
রাস্তায় বের হলে দিয়ে তার ব্যবহার
মানুষেরে বোঝাত পুত্র সে বাদশাহর ।
রাস্তায় একদা এক মিশরীয় লোককে
পেটালো সে নির্মম কে তারে রক্ষে ।
জুটিল না কিছুতেই সাহস সে নিরীহের
করিল না অভিযোগ গিয়ে কাছে আমরের ।
একদা সে মিশরীয় মদীনায় আসিলেন
তথায় সে উমরের গুণকথা শুনিলেন ।
নিরীহের বুকে হল সাহসের সঞ্চার
এবারে নালিশ দেবে গিয়ে কাছে খলিফার ।
খলিফার দরবারে পেয়ে হাতে এ সুযোগ
অন্যায়ের বিরুদ্ধে করিল সে অভিযোগ ।
অভিযোগ শ্রবণে খলিফা বেশ রাগিলেন
আমর পুত্রকে মদীনায় ডাকিলেন ।
বলিলেন খলিফা করিবেন সুবিচার
প্রমাণিত হইলে বিচারে দোষ তার ।


(অত:পর বিচারে)………………..
খলিফার আদেশে অভিযোগকারী যে
আঘাত করিল সে আমরের ছেলেকে ।
আমরের ছেলেকে যেভাবে যতটা
মিশরীয় মারিল সেভাবে ততটা ।
খলিফা জনতারে বলিলেন ভাষণে
প্রজারা  দাস নহে শাসকের শাসনে
তাহারাও স্বাধীন ও মুক্ত তেমনি
মায়ের উদর হতে এসেছিল যেমনি ।
কঠোর কিরুপ দেখ ধর্ম বিধানে
রাজা-প্রজা নাই ভেদ ইসলামী শাসনে ।