তুই কি সাথি হবি রবি মোর পাশে
নীলকুঠি, নীলসাগর, নীলের দেশে
হেথা যা আছে প্রিয়ে, সুখ আছে যাতে
উপভোগ করি আয় মিলে একসাথে ।


কালীতলা, গয়াবাড়ী, কালীকাপুর,
ধর্মপাল, কিশোরগন্জ, কুন্দুপুকুর।
নীলদীঘি, ইপিজেড, তিস্তা ব্যারেজে
ঘুরিব ফিরিব আয় মধুর আমেজে ।
যাস যদি মোর সাথে রাখিস তোর পদ
তোরে পেলে খুশি হবে এই জনপদ।


গাছপালা, জলাশয়, শস্য, পশুপাখি,
দেখিব চেয়ে সেথা মেলে দুটি আঁখি ।
দেখিব নদ -নদী যতো ঘুরিফিরি
তিস্তা, ঘাঘট আর যমুনেশ্বরী, ।
রচি দিব সুখ নীড় নীলের এই দেশে
হও মোর প্রিয়তমা থাক মোর পাশে ।


খেতে দিব গরমে যদি ঝড়ে ঘাম
রংপুরের বিখ্যাত হাড়িভাঙ্গা আম
যাস যদি প্রিয়তমা হাত রেখে হাতে
কাটাবো কিছুটা সময় ভিন্ন জগতে ।
মনে যদি ধরে তোর এত আয়োজন
হও মোর প্রেয়সী, আয় না এখন ।


দেখিব পাড়ে বসি তিস্তা ব্যারেজ
ঢেউ নেই, মরা নদী-মন্দ আমেজ।
দেখিব মানুষজন নেই সেথা সুখে
সারাঅঙ্গ বালুচর নদীটির বুকে ।
এই সব ভাল যদি লাগে তোর মনে
হও মোর প্রেয়সী, থাক মোর সনে ।।


এ জেলার মানুষ খুব অতিথি পরায়ন
দিবে তোকে নান্দনিক এক বিনোদন ।
শুনাবে মেয়েলী গীত, ভাওয়াইয়া গান
বিরহ না রবে তোর আউলাবে না প্রাণ ।
এত সুর এত গান যদি ভাল লাগে
হও মোর প্রেয়সী, আয় মোর লগে।
.........................................................................
বি. দ্র. কবিতাটি ইংরেজ কবি Christopher Marlowe ‘র বিখ্যাত কবিতা “The Passionate Shepherd to His Love” অবলম্বনে নির্মিত । ’নীলের দেশে ‘ কবিতাটিতে নীলের দেশ বলতে নীলফামারী জেলাকে বোঝানো হয়েছে যেখানে ইংরেজ আমলে ব্যাপক নীলের চাষ হতো । তাছাড়া এখানে আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব অষ্টম শতাব্দীতে নির্মিত একটি ঐতিহাসিক দিঘি রয়েছে যা ঐতিহাসিক বৈদিক রাজা খনন করেন এবং তা বিরাট দিঘি হিসাবে পরিচিত ছিল ৷ স্বাধীনতার পর এটি নীলসাগর নামে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করে এবং বর্তমানে এখানে ব্যাপক সংস্কার করে ভ্রমণ পিপাসুদের চিত্তবিনোদনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মিরপুর, ২১. ১১. ২০১৮