রাস্তার পশে বসে থাকা লোকটার সামনে
বেশ কিছু থালা উন্মুক্ত ছিল, প্রথম দেখায়
ভাবলাম লোকটি বোধহয় ভিক্ষুক। তারপর ভাবি
এক ভিক্ষুকের এতো থালা? কে দিলো কোন
থালায় খয়রাত তার হিসেব কি আলাদা করার
এ পদ্ধতি?


আমিও একটি পয়সা সাহায্য নিয়ে এগিয়ে যাই।
লোকটি আমাকে উপেক্ষা করে থালাগুলো গোছাতে থাকে।
দেখলাম, লোকটার কোনো থালায় অশ্রু, কোনো থালায়
অট্টালিকা আবার কোনোটিতে কেবল মানুষ আর মানুষ।
আমি বিষ্ময় ভরা কৌতূহলে থালার দিকে তাকিয়ে থাকি।
বেখেয়ালে কখন যে আমার হাতের ফাঁক গলে পয়সাটি
মাটিতে পড়ে যায় বুঝতে পারি না।


সে আমাকে হাত নেড়ে সাধুর মতো ইশারা করে বলে,
এই নাও তোমার অট্টালিকা। থালা সমেত শাহী মহল
হাতে আমার বাদশা সলোমনের কথা মনে পড়ে যায়।
তাকে প্রশ্ন করি, তুমি কি রানী বিলকিসকে চেনো?
সে কফির ধোঁয়ার মতো হাসির স্নিগ্ধতা বাতাসে উড়িয়ে
বলে, থালা ভর্তি এ অশ্রু তো তারই।
আমি চমৎকৃত হয়ে বলি-
তুমি কি পথের ফকির, দোকানি না কি জাদুকর?
সে এবার আমার অপর হাতে একটি মুদ্রা তুলে দেয়।
আমি দেখি পাঁচ সহস্র বছর পূর্বের
আমার হাত থেকে পড়ে যাওয়া এটি সেই মুদ্রা !
লোকটির মুখে কাষ্ঠহাসি। বলে, আমিই ইতিহাস।