সামনে একজোড়া গরু হাঁটে।
পেছনে জোয়াল ও লাঙল কাঁধে সমান
তালে মেঠো পথে হেঁটে যায় কৃষক।
আজ বেলা মাথায় উঠার আগে চাষতে
হবে জমিন। সামনে আমন মৌসুম।
প্রায় ক্রোশ হেঁটে কৃষক তার জমিতে পৌঁছায়।
বয়ে আনা লাঙল ও জোয়াল
সে নিশ্চিন্তে গরুর কাঁধে তুলে দেয়।
শুরু হয় হালচাষ।


এ চাষকর্মকে মজলিসের নেমন্তন্ন ভেবে
চষা মাঠে আসে সাদা বক,
মাকড়লোভী ফিঙে, শালিক প্রমুখ।
লাঙলের ফলায় চিরে যায় মাটি।
শোনা যায় ভবিতব্য শিশুর কান্না,
আগামীর ফসল ভূমিষ্ঠ হবে এখানে।
জমিন চাষতে চাষতে কৃষকের নিজেকে
রাজার মতো মনেহয়।
আফিমভক্ত রোদ, সমবেত পাখিকুল,
মাটির মাকড়
সকলে কুর্ণিশ করে তাকে।


অনতিদূরে এক সরু মেঠো পথে
একটা মিছিল যায়।
আগামী রবিবার ইউনিয়ন কাউন্সিল নির্বাচন।
একদল তরুণ হাঁক দেয়,
‘জমির ভাইয়ের মার্কা,
উড়োজাহাজ মার্কা’।
একজন আনন্দে একটা লিফলেট
উড়ে দেয় বাতাসে।
লিফলেটটা উড়তে উড়তে
শেষাবধি কৃষকের হাতে আসে।
সে লেখার হরফ চেনে না, মার্কা চেনে
-উড়োজাহাজ।


কৃষক হাল থামায়। রাজার মতো
উড়োজাহাজে ওঠে,
সমবেতদের উদ্দেশ্যে হাত নাড়ে।