মে দিবস বিশ্ব শ্রমিকের এক হওয়ার ব্রত,
অধিকার আদায়ের দাবিতে হয়ে ছিল একত্রিত।
শ্রমিক মরে সিকাগো শহরে ঐতিহাসিক এই দিনে,
পহেলা মে-তে উঠলো মেতে শ্রমজীবী এই দুর্দিনে।


দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ল সংগ্রামের ডাক,
শ্রমিকরা বললো ৮ ঘন্টার বেশী করবে না কাজ।
৮ ঘন্টাকে কাজের সময় পাস করতে হবে,
নয়লে কিন্তু মানবতার প্রাচীর ভেঙে যাবে।


কারখানায় হল নির্মম পুলিশী আক্রমণ,
প্রাণ হারালো সেখানে শত শত জন।
শ্রমিকের রক্তে রঞ্জিত হলো হাতের নিশান,
বিচার চেয়ে মোরা পেলাম শুধু অপমান।


দিন বদলায়,আইন বদলায়,বদলায় সমাজ ব্যবস্থা
তারই সাথে পরিবর্তন হয়েছে ভাগ্যের অবস্থা ।
১৮৮৬ সালে শ্রমিকদের দাবি গ্রাহ্য হয়,
৮ ঘন্টাকে কাম করিয়া ন্যায্য মূল্য ধার্য হয়।


শ্রমিকদের সামনে উম্মোচিত হয়েছে নতুন দিগন্ত,
শ্রমজীবীদের আজ সুখের নেই কোন অন্ত।
সংগ্রামী চেতনাও চরিত্রই শ্রমজীবী মানুষের ভূষণ,
সবার অন্তরে করে ছিল অনেক আশা পোষণ।


মে দিবস শ্রমিক শ্রেণীর সামনে নতুন ঊষার স্বর্ণ দুয়ার,
তারই মাঝে ফিরে পেয়েছে শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার।
চীন দেশেই প্রথমে মে দিবস পালিত হয় ,
তারই বিনিময়ে শ্রমিকরা আজ অধিকারের কথা কয়।
মে দিবস পরিণত হয়েছে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসে,
তারই কথা বলছে আজ মানুষ সারা বিশ্বে ।