বাংলা পহেলা মাস বৈশাখ দিয়ে শুরু,
তার নাম হাল খাতা,সব মাসের গুরু।
রোদ্রে ভরা জৈষ্ঠ্য মাসে কত মিষ্টি ফল পাকে,
আম-জাম কাঁঠাল পিয়ারা আরো কত থাকে।


আষাঢ় মাসে নয়া পানি পুকুর খালে বিলে ভরা,
পল্লীর বধুরা কলসী কাঁখে পানি এনে দেয় সাড়া।
শ্রাবণ মাসে খালে বিলে কত ফুল ভাসে,
বিলের উপর শাপলা শালুক আনন্দে হাসে।


ভাদ্র মাসে তালের পিঠা,বাতাসে ভরা সু-ঘ্রাণ
পিঠার ঘ্রাণে আকুল করে আমাদের প্রাণ।
আশ্বিনে আসে শীতের বার্তা শিশির ভেজা ঘাসে,
সোনা ভরা ঊষা রোদে সারা মাঠ ভাসে।


কার্তিক মাসে জলের অভাব,শুকিয়ে যায় খাল
নদীর তলায় অচল জল,যৌবন হারায় কাল।
অগ্রহায়ণে সোনার ফসল দেখে গাঁয়ের বধুর হাসি,
তাই দেখে কৃষকেরা আনন্দের জোয়ারে ভাসি।


পৌষ,মাসে বাড়িতে বাড়িতে হরেক রকমের পিঠা,
পিঠা পুলি-ভাপা পিঠা খেতে লাগে বড়ই মিঠা।
মাঘের কনকনে শীতে কাঁদে বনের বাঘ,
সে শীতে মানব জাতিও হয় হতবাক।


ফাল্গুন মাসে মরা গাছে গজায় নতুন পাতা,
দোলে পাতা বাতাসেতে কয় মনের কথা।
চৈত্র মাসে রৌদ্রে আমের গুটি পড়ে,
চারদিকে অনল বাতাসে ফলের ফসল ঝরে।


হে ভাই বারো মাসের নাম রেখো মনে,
উৎসবের রং লাগবে তোমাদের প্রাণে।
বছর ঘুরে পর্যায়ক্রমে আসে বারো মাস,
তাই দেখে আমরা সবাই হাসি সারা মাস।