হিম হিম শীত শীত,শীত বুড়ি এলো-রে
কনকনে ঠান্ডায় দম বুঝি গেল-রে।
মাঘের শীতে কাঁদে বনের রাজা বাঘ,
সেই শীতে মানব জাতিও হয় হতবাক।


অনাথ শিশুরা শীতে ঠকঠক করে কাঁপছে,
তাই দেখে কষ্টে আমার বুকটা ফেটে যাচ্ছে।
চোখের সামনে ভেসে ওঠে গ্রাম বাংলার শীত,
পল্লীর নব বধূরা আনন্দে গায় বিয়ের গীত।


শীতার্ত কাতর মানুষ মিষ্টি রোদের তরে,
কনকনে শীতে ছুটে যায় সূর্যের দুয়ারে।
সকালে খেজুর গাছে ঝুলছে রসের হাড়ি,
তারই টানে আমরা যায় দাদা,নানার বাড়ি।


বাতাসে তার মিষ্টি সু-ঘ্রাণ ভেসে আসে,
সবাই মিলে প্রাণ খুলে মনের আনন্দে হাসে।
এই হেমন্তে কেটে কৃষক ঘরে তুলে নতুন ধান,
পিঠা বানানোর জন্য কৃষাণীরা ভানবে ধান।


পৌষ-মাঘে বাড়িতে বাড়িতে হরেক রকমের পিঠা,
শীতের সকালে পিঠা পুলি খেতে লাগে বড়ই মিঠা।
শীতের সকালে চাষীরা মাঠে যায় পিঠাপুলি খেয়ে,
সকাল বিকাল কাজ করে মনের আনন্দ নিয়ে।
শীতের কষ্ট ও আনন্দ নিয়ে কেটে যাবে সবার দিন,
এই ভাবেই আসবে নতুন ঋতু পরিবর্তনের সু-দিন।