গ্রাম ছেড়ে বহু দূরে এসেছি যে কবে!
গ্রামের স্মৃতি গুলো মনে পড়ে সবে।
      মনে পড়ে ছেলে বেলা,
    হা-ডু-ডু আর কত খেলা।


সেই দিন গরু নিয়ে গিয়েছিলাম মাঠে,
বাড়ী এসে গিয়ে ছিলাম রসুলপুরের হাটে।
সকালবেলা দুধ-ভাত কলা ছিল সাথে,
আদর করে আখের গুড় মা দিতো পাতে।


তাই খেয়ে গান গেয়ে ঘুরে আসতাম পাড়া,
পিছে পিছে মা এসে খুজে হইতো সাড়া।
বাবা দেখে রেগে-মেগে খাওয়া দাওয়া নাই,
মা আমায় আদর করে বুকে দিতো ঠাঁই।


চুরি করে হাড়ি পেরে মা দিতো পিঠা,
বলতাম আমি "মাগো এতো খুব মিঠা।"
মাঝে মাঝে বাবার সাথে যাইতাম আমি কাজে,
বলতাম আমি "ও বাবা এখন কয়টা বাজে।"


বাবা বলতো "নিজের কাজ নিজে করা ভালো,
আছি আমরা যতক্ষন আছে সূর্যের আলো।"
মা আমায় আনতে যাইতো সব কাজ রাখি,
"ছেলেটাকে ছেড়ে দাওনা- আর কত বাকি।"


বাবা বলতো "চলো বাপু এখন আমরা উঠি।"
সবার আগে আসতাম আমি বাড়ীর পানে ছুটি।
  এসে বাড়ী তাড়াতাড়ী লাফ দিতাম দিঘীতে,
কত জনে আমার সনে আসতো সাঁতার শিখিতে।


   আমি ছিলাম সবার প্রিয় দুষ্টমিতেও সেরা,
     জীবন ছিল মধুময় ভালবাসায় ঘেরা।
   সময় স্রোতে ভেসে ভেসে আজ আমি ভিন্ন,
একদিন আমার এই ভবেতে থাকবে না'ক চিহ্ন॥
                                 (রসুলপুর, পীরগঞ্জ)