ছেলে আমার খুবই সরল খুবই বোকা,
বোঝেনা সে কোনটা ফাঁকি কোনটা ধোঁকা।
কথা বলে লাজুক লাজুক হাঁটে মাথা নিচু,
চারিপাশে যাচে না সে আছে নাকি কিছু।


একটুখানি রাগ হলে ভাসে চোখের জলে,
যদি বলি ডানে যাও ডানেই সে যে চলে।
স্কুলেতে কত ছেলের হাতে খায় মার,
কোন দিনও শুনতে পাইনা প্রতিবাদ তার।


মারামারি দেখলে সে যে কাঁপতো ডরে ডরে,
ঝগড়া-বিবাদ বুঝতো না সে থাকতো সদা ঘরে।
সবার সাথে মিশতো না সে থাকতো একা একা,
সারাটাদিন ঘরের মধ্যে করতো পড়া-লেখা।


আমি সদা চিন্তা করি এই দুনিয়ায়,
এযুগে এমন ছেলে কেমনে চলা যায়।
আমি তারে জোর করে চালাক ছেলের হাতে,
'আজ থেকে তোমরা দুজন থাকবে এক সাথে।'


বোকা ছেলে চালাক ছেলে একসাথে ঘোরে,
বোকা ছেলে অনেক চালাক হচ্ছে ধীরে ধীরে।
বোকা ছেলে চালাক ছেলের পিছে পিছে চলে,
সাড়াটা দিন ঘুরে বেড়াত রাজনৈতিক দলে।


বোকা এখন অনেক চালাক অনেক সাহস বুকে,
বুক ফুলিয়ে চলাফেরা থাকে না আর লুকে।
নানা প্রকার অপরাধ সে করতো দিন-রাত,
খবর পেলেই ছুটে যেতো যেখানে সংঘাত।


বাবা-মাকে ভুলে গিয়ে করে নানান নেশা,
অন্যায় আর সন্ত্রাসী আজ তার জীবনের পেশা।
অনেক দিন আমার ছেলের পাইনা কোন দেখা,
রাজপথে তার অনেক বন্ধু নয়তো সে আর একা।


অস্ত্র হাতে ঘোরে খোকা রাজনৈতিক দলে,
অপরাধের জন্য খোকা যাইতো নাকি জেলে।
এমন খবর শুনে আমার বুকটা ফেটে যায়,
খোকা ছাড়া আজ আমি বড় অসহায়।


কোথায় আমার সেই খোকা, কোথায় আমার ছেলে,
কোন কিছু চাইনা আমি খোকারে ফিরে পেলে।
সেই ছেলের কাছে গিয়ে বলি বারে বার,
ফিরে দিওনা আগের মত ছেলেটা আমার।