কবি হতে মন চায় আবেগের ডাকে,
আমি খুঁজি ছন্দ জীবনের বাঁকে।
      কখনো নদীর কূলে,
      কিংবা দেখার ভূলে,
ক্ষণকালে দেখি যারে পলকের ফাঁকে
সেই এসে ধরা দেয় আপনার থেকে!


সরষের ক্ষেতে যারে দেখেছি হঠাত,
সেই এনে দেয় মোরে রোদেলা প্রভাত।
        কখনো ফুলের রেণু,
        কিংবা বাঁশের বেণু
আলোকিত করে তোলে কালো মাঝরাত,
যখন জোনাকি এসে হাতে রাখে হাত!


কৈশোরে ভালোলাগা দোলায়িত চুল,
ঘোর লাগা চোখে মোর ভাঙে নাতো ভুল!
      তার হেঁটে যাওয়া পথে,
      বুঝি আজো দিনে রাতে
চোখের নদীতে আমি সাঁতরে আকুল।
মোরে লাগি তার মনে মায়া অপ্রতুল।


পাতা ঝরে গেছে হায় ফুল ফুটে আছে,
আমার এ মনে তার লাগানো গাছে।
     সে ফুলের সৌরভে,
     হয়ত কপট ক্ষোভে
তারই লাগি অভিমানী এ মন বাঁচে।
কবিতার খাতা ছাড়া আর কি আছে?


জানি সে লুকিয়ে আছে মেঘের ফাঁকে,
মন চোখের তুলিতে তাকে আবিরে আঁকে।
      যতক্ষন বায়ু বয়,
      তার কথা ভেসে রয়।
আবার নতুন করে আমি চাই তাকে,
কবি হতে মন চায় আবেগের ডাকে!



( প্রথম প্রেমের স্মৃতিকাতরতা আর আনকোরা কিছু শব্দবিলাস)