কবির যখন কবিতা হতে ইচ্ছে করে.....
চাঁদের যখন ইচ্ছে করে চাঁদনীর মতো গলে পড়ে মাটিকে চুমু খেতে,
নদীর যখন ইচ্ছা করে ঝর্ণার বাড়ি যেতে,
ঠিক তখন আমার ইচ্ছে করে,
ভেঙেচুরে ইচ্ছা করে......
আরেকবার ভালোবাসতে....
ইচ্ছে করে কাজল পড়ি, আলতা দিই।
ইচ্ছে করে কেয়াফুল খোপায় গুঁজে,
তমাল বনের আবছায়ায় তোমার পথ চেয়ে থাকি।
ইচ্ছে করে তোমার গোলাপ ঠোঁটের প্রত্যেকটা শব্দ,
সিন্দুকে রেখে স্পর্শের শেকল টানি!
কবির যখন কবিতা হতে ইচ্ছে করে,
রাতের যখন আঁধার পেতে মন কেমন করে,
পাহাড় যখন গর্জে কাঁদে মেঠোপথ হবে বলে,
তখন আমার ইচ্ছে করে,
তোমার গালে স্বপ্ন এঁকে দিই।
তখন আমার ইচ্ছে করে,
উচ্ছন্নে পাঠাই সংসারের রঙ ঢং সং,
ইচ্ছে করে আচ্ছন্ন হই অই গভীর দুই চোখে।
হে কবি, এবার আমায় নিঃশেষ করো,
তোমার আবেগে
সবেগে আঘাত করো বুকের এই কনডেম সেলে,
আমায় ভাসাও, ডোবাও, পোড়াও তোমার অগ্নিস্নানে....
পুষ্পিত করো তোমার উদার পরানে
আমার এই পারিজাত রক্তের ধারা,
পাগলপারা করে রাখো তোমার দেহের দেহলিজে
আমার কল্পনার সবটুকু আঁচ।
ভেঙে দাও এই দূরুত্বের কাঁচ......  


কবির যখন কাব্য হতে ইচ্ছে করে,
গাছের যখন ইচ্ছে করে অভ্রনীলে ভাসতে,
তখন আমার ইচ্ছে করে
তোমাতে লীন হতে.......