তোমাকে ভাবার অধিকারগুলো
গাঙ্গে ভেসে গেছে,
কাগজের আদালত জানিয়ে দিয়েছে
কলম আমার নয়।
বুকের রক্তে দোয়াত ভরেছি,
হয়ে গেলো তোমার প্রেয়সীর আলতা-বাটি।
এতটা সাহস তোমায় কে দিয়েছে বলো?
থেকে থেকে এও মন চায়,
অগ্নিস্নানে দাহ্য করি তোমার উঠান, চৌকাঠ,
কুয়োতলা আর পর্তুলিকার ঝাড়!
পারিনা........
মেঘের অত সাধ্যি নেই যে কাউকে পোড়াতে পারে।
প্রতিরাতে তাই ঝরছি আমি,
বর্ষা-বৃষ্টি অথবা শিশির হয়ে।
এক একবার এও মন চায়,
অশরীরী হই; ভর করি সেই দেহে
যার আনাচে কানাচে তোমার নিত্য বসবাস।
আর কত তোমায় অভিভূত হবো?
এবার আমিও তোমার ছাপোষা রূপের পরিচিতি চাই।
কাছে আসতে চাই,
মায়া কাটাতে চাই,
দূরুত্বের মোহে পড়ে আমি ক্লান্ত ললনা।
ত্রিভুজ প্রেমের তকমা লাগিয়ে,
অনুভূতি অমিমাংসিত রেখে,
বাতি নিভিয়ে শোয় অক্টোপাস আর গিরগিটিরা।
চেয়ে দেখো, আমি তুলতুলে পর্তুলিকা।
তুমি ডাকলে আমিও ঘাসের বুকে
পাপড়ি বিছাতে জানি।
ত্রিভূজকে রশ্মি বানিয়ে ভেদ করতে পারি
সব ট্যাবু, সব সব সব ধোঁয়াশা।
জানি তোমায় ভাবার অধিকার গুলো
গাঙ্গে ভেসে গেছে।
স্রোতের রাশ টেনে ধরব কি?
কাগজের উচ্চ আদালতে আপিল করব কি?
কিছু ছন্দের যদি মুক্তি হয়।
যদি ফের তুমি কাঁদতে শেখো
যদি ফের কিছু ঘাসে পর্তুলিকা ফোটে.....
ক্ষতি কী....?