ভগ্ন-প্রায় ধবংসের সাক্ষী,
পুরোনো এক হারানো শহর......।  
কে জানত সেথায় লুকিয়ে আছে,
অদম্য প্রাণশক্তির,
অক্ষত প্রেমমূর্তি!


ভেনাসের আশীর্বাদে নয়,
ক্লিওপেট্রার জেদে নয়,
আর্ফিয়াসের সুরে নয়,
তাকে খুঁজে পেলাম আত্মার আরতি সঁপে।
ভাঙাচোরা ছোট্ট কুটিরে সে এলো........!


পলকের বিশ্বাসে নয়,
ভাবনাকে ছাপিয়ে নয়,
আবেগের জোয়ারে নয়,
শুধু স্মিত হেসে সে জেগে উঠল,
আড়মোড়া ভেঙে শত জন্মের।
আমার শীর্ণ হাতে মুছিয়ে দিয়েছি,
তার জীর্ণতার ইতিহাস।


সে এখন প্রস্তর নয়।
দেবদূত যেন, প্রাণময়তার জ্যোতি
আজ দু-চোখে তার।
আমার আলয় করেছে ঈর্ষণীয়,
মোহনীয় ভালোবাসার অজস্র ভাষ্কর্যে।  
কঠিন প্রাচীরে বেধেছে আমার ঘর,
সুনিপুণ সৌকর্যে।
দু-হাতে জড়িয়ে বুকে, ভুলিয়েছে ক্লান্ত অতীত।


আস্থাবিহীন জীবন নয়,
নিদ্রাবিহীন রাত্রি নয়,
মৃত স্বপ্নের বিলাপে নয়,
আমার ভুবন ভরে আছে,
তার ভায়োলিন সুরে।


আচ্ছন্ন হয়ে আছি,
চোখ বুজে আছি,
পরম শান্তিতে!


ভ্যাম্পায়ারের তীক্ষ্ণ নিঃশ্বাসে নয়,
হায়েনা কয়োটির আর্ত চিৎকারে নয়,
প্রেতাত্মা কুহেলীর অবয়বে নয়,
এখন আমার উঠান ভরে
রঙিন গ্ল্যাডিওলাস আর অর্কিডে অর্কিডে!
সুবাসিত এখন আমি,
জ্যোৎস্না আমায় ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায়,
চুমু দেয় ঠোঁটের কোণায়....  


সে আছে, আমি আছি
আর আছে আমাদের স্বপ্ন বাড়ি................।