ভিখারীর বেশ ধরে
চতুর রাবণ,
করিল লক্ষণ-ভেদ
সীতারে হরণ!


রাম না রাবণ তুমি,
জানে ঈশ্বর (?)
সীতার সন্দেহে কাঁদে
সারা চরাচর!


নারীর কোমল প্রাণ,
ভয়ে কম্পমান।
এই বুঝি লুন্ঠিল,
লাজ সম্মান!


আঁকড়ে সে ধরে বুকে
আঁচলের মতো,
পুরুষের বুকে খোঁজে
আশ্রয় যত।


কে তুমি চেনেনা সে,
চেনেনা সে রাম।
রাবণের ছলে ভোলে,
আজো অবিরাম।


শূর্পণখার মোহে,
রাম নাহি টলে।
দয়ার শরীর সীতা,
ভিখারীতে ভোলে।


কবিতায় বলো তারে,
চাঁদ, নদী, ফুল।
পবিত্রা পরাণে তবু,
কেনো আঁকো ভুল?


তাহারে রাখো না কেনো,
আগলায়ে বুকে?
রাখিলে থাকিত সে,
নিরব সুখে।


নারী রণে রণাঙ্গিনী,
উঠানে বকুল।
প্রেমে তে অবুঝ রাধা,
না মানে সে কূল।


ছলনার বেড়াজালে
বাঁধিয়ো না তারে
প্রজাপতি পুড়ে যাবে
আগুনের ধারে।


ননীতে গড়িয়া বিধি,  
ছাড়িল কাঁটায়।
ঠাঁই নাই পুরুষের
বুকের পাটায়??


নারীরে এহেন যদি,
করো অভাগিনী!
ধরায় রহিবে শুধু
কাল পিশাচিনী।


যার যা প্রাপ্য তারে,
দিও বুঝিয়া।
প্রেমের বদলে প্রেম,
হিয়াতে হিয়া।


( এটি একটি রূপক কবিতা। ভুল ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। কবিতার মূলকথা নারীর বিরহ, অসহায়ত্ব এবং পুরুষের উপর চিরন্তন প্রেম নির্ভরশীলতা।)