অহেতুক দুপুর গড়ায়
অসীম রাত্রের অভিমুখে......
সন্ধ্যের পাঁচিল টপকাতে গিয়ে বারেক ভাবে,
থেকে গেলে কী ক্ষতি হতো?
আমার ভাবনার ঘরে হানা দিয়ে
সবগুলো ছন্দ গুড়িয়ে দেবার পর
ভালো আছো তো?
কখনো কি আপসোস হয়?
কখনো কী ভাবো কড়া পড়া হাতে কেন মেহেদী ছিলনা?
কেন লিঙ্গান্তরের ব্যাকরণ ভুলে,
ছুটেছি ছাপোষা জীবনের ঠেলাগাড়ি নিয়ে?
জানি ওসব ভাবার কোন সময় তোমার নেই।
তুমি হাত বাড়ালেই পাও ফর্সা চিবুক,
গোলাপি বুক আর অনিন্দ্য সুখের অসুখ......
না চাইতেই তোমার ঠোঁটে চুমু এসে গড়াগড়ি খায়!
শরীর, শরীর, শরীর....
তোমার তো মনেও শরীর বসত করে।
উগ্র কামনার ফুল দিয়ে
যার খোঁপায় তুমি স্বপ্ন সাজাও,
খোঁজ নিয়ে দেখো ক্লান্তিতে তার অই রূপ থাকেনা।
অভাব এলে তারও লাবণ্য ম্লান হয়।
বাঁকা কোমরে বসত করো জানি,
বাঁকা তোমার মন......
সোজাসরল ভালোবাসা তোমার অরুচি লাগে।
ভালোবাসি বলে সবটা লুটিয়ে দিলে
তুমি পিঁপড়ের মতো পিষে ফেলো।
সে কি জানে এসব?
নাকি শুধুই ক্ষনিকের লেনাদেনা?


অহেতুক দুপুর গড়ায় রাত্রের অভিমুখে,
সন্ধ্যের পাঁচিল টপকাতে গিয়ে ভাবে
গল্পটা ভিন্ন হতে পারত.......
হতে পারত এমনটা,
আমার পোড়া কলিজায় তুমি শ্রাবণ হতে....
ক্লান্তিতে একটা চুম্বন হতে,
কিংবা  হতে ব্যস্ততায় বিষাক্ত জীবনে একরাত মোমের আলো!
জানো তো,
ভালোবাসতে কারণ লাগে না।
তবু যদি কারণ খোঁজ শপথ করে বলতে পারি,
যে শৈত্যের তীব্রতায় পালিয়ে গেলে,
কয়েক প্রহর বাদেই সে বসন্ত হতে চেয়েছিল.......
টেরও পেলে না।