ঘুম থেকে উঠে দেখি আমি কেতকী দত্ত হয়ে গেছি।
অবিকল ওরই মতো আমার লিকলকে হাত পা,
খোঁচা খোঁচা দাড়ি, রগ ওঠা কপাল, মুখে চুল্লু গন্ধ।
আমার তিলোত্তমাও বদলে গিয়ে  একটেরে প্রান্তিক মফস্বল।


হাওয়ার মতো ফিনফিনে একজন ডাঁটি ভাঙা কাপে
কেরোসিনের গন্ধওলা চা রেখে গেল – ঠকাস!
আড়চোখে দেখছি মহিলাকে – জনমদুখিনী মাগো –
বোধহয় ক্রনিক পেটরোগটাও বাঁধিয়েছে।


পিলপিল করে এসে জুটছে মন্টু শান্টু পল্টু জবারা,
মাথায় ঘাড়ে চাপছে-
কেতকী দত্ত হয়ে সভয়ে ওদের মাপছি।


মেঘনা বিড়ির ধোঁয়ায় চাম্পাবেড়ার ফুটো-গলা রোদে
মেঘনার ঢল,
জানালা উপচানো কলাবাগানের পাতায়
সমুদ্রের হিন্দোল,
প্রান্তর জোড়া পাখপাখালির
সূর্যস্তব।


জানিনা লাঙল হাতে এখনি বেরোতে হবে কিনা
কিংবা আদৌ কোনো কারখানার ভোঁ বাজবে –
কিন্তু আপাতত কেতকী দত্ত হতে আমার বড্ড ভালো লাগছে।