কথা
যায়না
বলা কত
ভালোবেসেছি,
মরুপ্রান্তরকে
বেষ্টন করে নিয়ে
ক্যাকটাস উপড়েছি
কত! আর কত মক্ষিকা
করেছে এসে ভীড়, ধমনী
শিরা উপশিরা ঘিরে, বিক্ষোভে
হয়েছে সামিল চরাচর জুড়ে।
শ্যামল প্রান্তরও হয়েছে রক্তিম
ওষ্ঠসুধায় নিবিড়, লিকলিকে শ্যাম
বাজায় বেণু, দিনরাত একাকার হয়!




কথা
যায়না
ভোলা কত
দিনরাত বা
নিরালা দুপুর
ঘুঙুরুর নিক্কণ
বেজেছে অনুরনণে,
অট্টালিকা অট্টালিকায়,
হাসিও পড়েছে ছলকিয়ে,
শঙ্খচিলের ডানায় হারিয়ে
গেছে রোদ, ভুবনপুরের মাঠে-
আঙিনায় খেলেছে কত লুকোচুরি
ছায়াটির সাথে, লিচুবনে; হর্ষে হর্ষে
হয়েছে শরীর বাঙময় তোর্সার ঘাটে!




কথা
যায়না
শোনা, কান
ঢেকে যদিবা
বেঁচে যেতে পারি,
অন্দরে অলিগলি
জুড়ে ষড়যন্ত্র হয়,
দ্রাক্ষাফলও পেড়ে নিতে
উদগ্রীব হয় হরমোন,
সান্দ্র বাতাসে ওঠে ফিসফিস,
পৃথিবীর মাঠে এ কেমন ফুল,
ছিঁড়ে নিতে, পেড়ে নিতে চাই সুন্দর!
অবয়ব ঘাঁটাঘাটি সারা হয়ে যায়-
এসো অবগাহে নিশ্চিহ্ন করে মহাকাল!


পাদটীকাঃ- অবরোহী ঘরানা সম্পর্কে জানতে পারি কবি হাসান ইমতির লেখা থেকে, অনুপ্রানিত হয়ে চেষ্টা করলাম। এটি অবরোহী পঞ্চদশ, প্রথম বাক্যে অক্ষর সংখ্যা ১, তারপর ২,৩,৪...ইত্যাদি। বাড়তে বাড়তে পঞ্চদশ বাক্যে ১৫ হয়েছে।