ভেজা ঠোঁটে আবাহনে কামিনী ফুলের সুবাস
হারিয়ে গেছে কতকাল!
কতটা ছিন্নমূল বিভেদকামী এ পরবাস
তা কি জেনেছিলে এতকাল?
ঘর্ষনে ঘর্ষনে বসন হয় শুধু স্বেদজর্জর,
তুমি বল অমৃতমন্থন-
আমি বলি কারাগারে গজাচ্ছে নতুন গুল্মচারা!


কলম আর মিষ্টি প্রেমের গাণ লিখতে দ্যায় না,
কোথা থেকে রপ্ত হল রাজ্যের কর্কশ আর তির্যক জবান!
নিরীহ জবানবন্দীতে যখন আঁকতে চাই তোমার নিপূণ সৌন্দর্যের রসায়ন-
দেখি, আমার হাতের তালুতে ফুঁটে আছে ক্যাকটাস!
রক্তক্ষরণের তীব্র যন্ত্রণায় আফিমের মৌতাত আসে,
বুঁদ হয়ে থাকি, চোখ মেলে দেখতে পাইনে তোমার বসবাসে কেমন
কুর্চি ফুলের নিপাট ভালোমানুষি লেগে আছে!


ছায়াবন্ত ছায়াবৃন্ত বটবৃক্ষডালে কাক চিল শকুনেরা বসে,
ল্যান্ডস্কেপ জুড়ে কত রঙ্গিন প্রজাপতি- রমনীয় কোলাজ!
আমার চিলেকোঠায় পড়ে তোমার দীর্ঘ প্রতিচ্ছবি-
অবসন্নতা হামাগুঁড়ি দেয়- বিষন্ন পরমাত্মা হয়ে দেখি-
আমার বাঁকাচোরা আঙ্গুলে গজিয়েছে কিছু দূর্বাঘাস-
তুমি কি আলিঙ্গনে ধরা দিতে পারোনা!