***********************
বৃষ্টির কাছে যাচ্ঞা করেছি কত
অলৌকিক আর শ্বাসরোধকারী দিন,
বৃষ্টি কাছেই রয়েছে হয়েছে দূর
মালসা মাদল মেঘতালুকের ঋণ।



তন্ত্রমন্ত্র তুকতাক নেই কিছু
পাখপাখালির জীবন কেটে তো যায়
ওম না দেওয়া অনাথিনী ডিমগুলো
পড়ে গেলে পর খেয়ে নেয় হায়নায়।



বাঁচিয়ে রেখেছি তাবৎ রত্নরাজি
ডিএনে খচিত খুঁদকুড়োগুলো যত
ঝড় দিলে পরে ঝরে পরে যেতে পারে
পাখিজীবনের রসদ অসংগত।/



তেল পিচ্ছিল পালকে লাগে না কাদা
রোয়াকে বসি কি বসি ভীমরুল চাকে,
গাড়ীরাস্তায় শহুরে মেনির পাছে
ঘোরাঘুরি করে মরে হুলো ঝাঁকে ঝাঁকে।



ঝাঁকের মাগুর হতে না পারাটা ব্যথা,
চোখে পড়ে যায় নিগুঢ় কত যে ভুল
বিষ্ঠা ছড়িয়ে বংশ বাড়ানো সার
টিউলিপ চেনে গজরানো বেংগুল।



খাঁচা ভাঙ্গবার লোভ আর দেখাই না তো
শেখাই না কোনো ইউটোপিয়ান মিথ
আচঁড়ে দেখেছি মাটি যেখানেই পাই
দাঁড়া বেয়ে ওঠে পাঁজর কাঁপানো শীত।



গুটিয়ে গিয়েছি উলের বলের মত
মাথার উপর চমকানো চাঁদ জানে
অবিশ্বাসের পায়ের পা ঝাড়া বিষ
বপিত যাপিত চকমকি আলিশানে।



প্রাচীন বোঁচকা ঠোঁটে নিয়ে উঠে পড়ি
বেপথু নাবিক ডানায় করেছে ভর
পাখীয়াল আয়, আয় পাখীয়াল আয়
বৃষ্টি শেষের শ্রাবণ জোছনা ধর।