“ আমার আয়ূরেখা কত ছোট,
মরছি না কেন তবু!”


কেননা আমার আয়ূরেখা পেরিয়ে গেছে বিষুবপাহাড়,
তার থেকে কয়েক ছটাক
আমি তোমাকে ধার দিয়েছি,
কমিয়ে নিয়েছি মহানিষ্ক্রমনকাল,
ইচ্ছেমরণ, শরশয্যা- যা বলো।


“এই কত গাড়ী গেল,
ধর যদি পিষে দিয়ে যায়!”


এমন সুইসাইডাল
আমিও ছিলাম,
কত ফিসফাস, কত মরণের ফাঁস,
কত বিষদাঁত এড়িয়ে
এই দেখ দাঁড়িয়ে আছি বেমালুম,
পর্দা টেনে দিলে এখনো
হাওয়া আসেনা কোনো,
বড্ড গুমোট হয়ে যাই,
ভাগ্যিস তুমি এলে।


“কোনো পাহাড়ই কি
তেমন উঁচু নয় আর,
যেখানে আমরা হনিমুনে যেতে পারি,
ছোট্ট একটা ধাক্কা-ব্যাস!”


পাহাড়ে পাহাড়ে কানাকানি
শুনেছো কোনোদিন?
ওরা কথা বলে,
তোমাকে নিয়ে যাবো
অখ্যাত কোনো শৈলশহর,
পাহাড়কে পাহাড়ের
কত কথা আছে বলার,
দেখবে শুনবে সব।


“তার’চে চল,
এখনই পালাই,
এইসব বাঁচাবাঁচি,
খেলাধুলো,
ঘেন্না ধরে গেলো, মাগো!”


সমুদ্রে চল তবে,
নোনাজল উপকথা শুনি,
বালিয়াড়ি খেলি নুলিয়ার সাথে,
যেখানে আকাশ পৃথিবীকে ছোঁয়
বৃহত্তর সম্ভাবনায়-
খুব ছোট করে শুরু করি