- এক-


শব্দ সংরক্ষণ করে করে বানিয়েছি শাপলা পুকুর
নদীতে নাইতে যাইনি
ছোট মোর ঘর ভালো, ভালো তার ঘড়া ঘড়া জল


তাঁর বিপক্ষে নিজেকে দাঁড় করিয়ে রেখে ভেবেছি
কত ক্ষুদ্র আমি
যারা নিরন্তর যোগ বিয়োগ অঙ্ক কষে গেছে
তারা জানে ...
নজর না পড়লেই ভালো
চুপি চুপি ফসকে যাই


আলফা না হোক
বিটা গামা যা কিছু
সবই ক্ষুদ্র
সবই প্রবঞ্চনাময়


তবু আসে মেঘলা দুপুর
তবু এঁদো ঘাটে তরুণীর স্নান
তবু ভুল
তবু অনুকম্পা


যে ভালোবাসা খৈনীর ডিব্বায় অগোচরে
ঢুকিয়ে দিয়েছে চুন
আঙুল ডুবিয়ে দিতে দিতে ভাবি
পালাবো


- দুই -


হুমম, কোনো পাখিছানা খোঁজে না বিবর
উড়ে এসে, নিশ্চিন্ত আশ্রয়
কোনো কাচপোকা ওড়েনা ব্যাসার্ধ ছেড়ে
ধানশিষটির, অবেলায়
এমন সমঝদার প্রাজ্ঞ নেই আর এ শহরে
প্রেমের কবিতা পড়া, পালানোর পথ বাৎলানো


পালাবো
পাখা ওঠা সদ্য দৌড় পাখিছানা
পালাবো
ব্যাসার্ধ ডিঙানো শহরাভিমুখী কাচপোকা
পালাবো
প্রেমের কবিতা থেকে শিখে অভিসার


পালাবো
পলায়ন হবে হাঁকডাকহীন, রাখঢাকহীন
পলায়ন হবে হীনমন্যতার ঘেরাটোপে ক্ষয়িষ্ণু চন্দ্রিমা
পলায়ন হবে ফ্লাইট অব দ্য সেঞ্চুরি


বলেন কী? ব্যবস্থা নেওয়া হোক!
এই বলে বালিশ আঁকড়ে পড়ে আছি আমি
সুশীল স্তাবক, হারিয়ে সমস্ত পন্থা
জায়মান বালিশে বিবেক রেখে
পলায়মান পা বাড়িয়ে দ
যাবো ... যেতে পারি
তারপর এসেছে অমোঘ
"কিন্তু কেন যাব"