কাছে থেকো,
হয়ো কোনো বটবৃক্ষ,
তোমার শিশুটির জন্য
আমি পৃথিবীর শেষতম
স্তনবতী মহিলাটির কাছে যাবো,
শুনবো দুগ্ধক্ষরণের ইতিহাস।


হয়ো তমালিকা, হয়ো বেত্রবতী,
সমেঘ সুনীল আকাশে উড়ো গাঙচিল,
তোমার অঙ্গুরীয় খাবেনা কোনো
দুষ্মন্তর মাছ,
অমোঘ প্রেয়সী তুমি প্রতি বন্দরে।


হয়ো কুব্ঝটিকা,
হয়ো তটিনীর বিভীষিকাময় ছদ্ম আবর্ত,
লোভাতুর কুমীরকে গিলে খেও পাকে পাকে,
তবু হারিওনা রস ...
পানকৌড়ি রস।


তারপর ঘুরে বসো,
একজোড়া পিঠ
পরস্পর বিপরীতমুখী,
তবু ঠেকে আছে আবছা এলিয়ে ...
এত মধু আর জ্বালাভরা হতে পারে!
হতে পারে অভিমান!


দিন যায়, প্রহর, রাত যায়, নিদ্রাতুর,
ঘুর্ণিপাকে পৃথিবী নাকি ঘুরছে,
তোমার অক্ষিবলয়ের মতো,
কই? আমিতো টের পাইনা!
সতত দেখেছি নিবিষ্ট তুমি
ছিনে জোঁক হয়ে বসে থাকো,
রক্ত চুষে ফুলে ঢোল হও
আর খসে পরো অকৃত্রিম
বোঁটা খসে ...
নিতম্বভার
নিরবিচ্ছিন্ন আর ক্লিশে।