রাঙা পায়ে ঘোমটা মাথায় প্রবেশ করছি ধীরে ,
এমন সময় বাতাস এসে ঘোমটা দিল সরিয়ে।
মুখের মধ্যে লুকিয়ে থাকা ছোট্ট ছোট্ট ভাষা ,
বেরিয়ে এলো অমনি মুখের ঠোটে ছিল যা চাপা ।
নীলাভ ও মনের উপর পড়ে থাকা সাদা ধোঁয়া ,
সরিয়ে দিয়ে বের করল যা গিয়েছিল খোয়া ।
আশ্বিনের বধু এখন নতুন সাজে সেজেছে,
নিজেকে প্রকাশ করার দিন শুরু হয়েছে ।
ঘনঘন আঁচলখানি বিছিয়ে দিয়ে চলছে টেনে ,
কালো রংয়ের চুলটা কে বেঁধেছে ফুলের বাঁধনে গেঁথে ।
নিজের সাজের সাথে সবাইকে আকৃষ্ট করেছে,
বধুর মতো সাজিয়ে নিজেকে রাঙিয়ে নিয়েছে।
বাহক দলের পালকি এসে বধূরে তোলে এক নিমিষে ।
দলে দলে পেছনে চলে বধুর সখা সখীর দল ,
সবার মধ্যে থেকে উঠে দাঁড়িয়ে আপন মনে।
মেঘ সরিয়ে নিজের রূপের ছটা দেখা সবাইকে,
সাদা রঙের ওপর নীলের ছোটা।
অপূর্ব সুন্দর তার রঙের ঘোটা।
তাকালে আর চোখ ফেরানো যায় না কখনো,
যখন-তখন ভাসিয়ে  ভেলা।
বধু দেখায় তার মনের খেলা।
বিকেলের সেই গোধূলি আলোয় ,
বধুর ছটায় পরে রামধনুর সকল রং যে।
  তার ওপরে চলন বলন,
অনেকটা ঠিক সবার মনের মতন।
চললে পরে হাসি যে তার ঝরে পড়ে।
আগমনের ভেলা যেথাই চলে ,
তার ছোয়াতে নতুন সুভাষ আসে।
কখনো কালো মেঘ এলে পরে ,
কেঁদে তারে সরিয়ে ফেলে ।
কি অপূর্ব ছোটা যেতার ,
মনো মুগ্ধ হয়ে তাই দেখি বারে বারে।