পথের ধার ধরে ধরে আমি চলি ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে,
,ভোরবেলা বেরিয়ে পড়ি হাতে বড় লাঠি নিয়ে ।
বাড়ি বাড়ি চলতে থাকি দুটো চালের দানার তরে ,
কেউ আমারে দেয় বাটি ভরে,
কেউ বা হাতের মুঠোয় তুলে।
বহুদিন ধরে আমার জীবন,
এই জীবিকা বেছে নিয়েছে।
তালপাতার ওই কুঁড়েঘরে আমার দিন কাটছে ,
পরনে পরি লোকের দেওয়া একটু ছেঁড়া শাড়ি,
কেউবা আবার দেয় আমার খাওয়ার জন্য অর্থ তুলি।
সন্ধ্যেবেলায় কোনদিন জ্বলে বাতি
কখনো বা পথের ধারে ল্যাম্পপোস্টের আলোতে থাকি ।গরমে নেই কোন ঠান্ডা করা যন্ত্র ,
দিনরাত চলে শুধু সঙ্গে হরির মন্ত্র ।
আসি আর যাই পথ দিয়ে আমি,
সবাই মরে ভিক্ষুক বলেই জানি ।
নেই কো মোর কোন মন,
ভাবে মানুষের দল।
যে যেমন পারে আমার পথে-ঘাটে বলে,
তবুও তো আমি থামিনা কো ,
চলি ভিক্ষুক হয়ে পথে পথে ,
স্বপ্ন দেখতে জানিনা আমি।
আশা আনতে মনে নাহি পারি।
যেমন জোটে তেমনি খুটে ।
দিন চালিয়ে চলছে ছুটে,
কোথাও আমার মন টিকে না ,
ভাঙ্গা ঘর মোরে দিয়েছে ঠিকানা।
কেউ যদি মোরে দেয় গো আঘাত,
করিনা মনে কোন তার মাপ ।
ভিক্ষুক আমি মন নেই মোর,
মানুষ তো বটেই।
এই টুকু জানুক সব বাড়ীর দোর।