পারমিতা তুমি ছিলে একজন অপরিচিতা ,
পথের ধারে হাটছিলে হয়ে বড় কল্পিতা।
আঁচল ছেড়ে চলছিল দুপুর বেলাতে পথে,
বাতাসের স্পর্শ তোমার ছুয়েছিল দেহের আশেপাশে ।
মুখে তোমার পড়তে ছিল কালো ঘন চুল,
বারবার দুলতে থাকে ঝোলানো কানের দুল ।
চোখের মধ্যে ভেসে উঠেছিল রৌদ্রের ঝলকানি ,
মুখের মধ্যে পড়তে থাকা চুলগুলো সরা ছিলে খালি ।
কেউ ছিলনা পথে তখন আড়ালে আমি,
দেখছিলাম তোমায় ,
হলুদ রঙের আভা ঘিরে রেখেছে শাড়ি ।
অপূর্ব এক স্বপ্নদৃশ্য আমার চোখের মধ্যে পড়ে,
তোমার মহিমা দেখতে থাকি ঘুরে বারে বারে ।
সপ্ন সম সেদিন আমার লাগছিল যে মনে,
তখন থেকেই দেখতাম আমি স্বপ্নে দিনে-রাতে।
মনের ঘরের দরজা ঠেলে কখন করেছ প্রবেশ,
বুঝতে পারার আগেই তুমি কাছে এসে দাঁড়ালে ,
হাতটা বাড়িয়ে বললে আমায় ,
পথ ভুলেছিদেখিয়ে দিন না ।
অমনি মনটা ভরে গিয়ে
,পথের দিশায় চলি ঘুড়ে ।
তখন থেকেই শুরু হয়ে যায় তোমার সাথে চলাফেরা
,সেই পারমিতা আজ আমার দোরগোড়ায় ।
প্রথম পাওয়ার দিনটা আজও খুঁজে বেড়ায় মনে,
এই স্বপ্নসমূহ ভালোবাসা জাগিয়ে তুলে,
আনন্দ দিই প্রাণে।
পারমিতা দুপুরের আগমন জাগিয়েছিল প্রেম,
ভালোবাসা কি যে তখন জাগিয়েছিল এই মনের দোর।