কবিতা — একটি কল্প কাহিনী
মৌমিতা পাল


অনেক দিন আগে হঠাৎ করে
একটি পাখি এসে বসেছিল
মোর সখের উদ্যানে ,পাখিটির আগমনকালে
আমি ছিলাম আনমনা ,নিজ ভুবনে ব্যাপৃতা
হঠাৎ খেয়ালে এল পাখিটির দুইবেলা আগমন
নিজ উপস্থিতি গুনে উজ্জ্বল করল মোর উদ্যান কোন।
আমার অবাক্ ভাব কাটতে লাগল সময় কিছুদিন
তারপর আমার নজর কাড়ল পাখিটির উদ্যমী আচরণ ।


সকাল  বিকেল দুইবেলা ,পাখিটির সাথে করতাম খেলা
কিন্তু আমাদের মাঝে ছিল ভাষার ব্যবধানের বাধা
পাখিটি বোঝেনা আমার  ভাষা আমিও বুঝিনা তার ভাষা
তবুও এক অন্তরঙ্গতার হয়ে  গেল সৃষ্টি
জীবনের  মাঝে এল এক অন্যরকম  দৃষ্টি ।
কিছুদিন কাটার পর আমার হল এক
অদ্ভুত সখ অদ্ভুত রকমের বায়না  
ভুলে গেলাম আমি আমার সীমানা ।
পাখিটিকে করতে চাইলাম
আমার সৃষ্টির খাঁচায়  বন্দী
তারপর দেখলাম পাখিটার ছটফটানি
বন্ধ খাঁচায়  না থাকতে চাওয়ার করুণ চাহনি ।
আমিও পেলাম মর্মান্তিক  আঘাত
অভিমানের কাঁটায় হলাম সারা
কিছুটা অভিমানে কিছুটা রাগে
করলাম পাখিটিকে অবহেলা ।


বেশ কিছুদিন কেটে  গেল
তারপর দেখি হঠাৎ করেই
পাখিটি আর আসেনা
উদ্যানে তখন শুধুই  শূন্যতা
আমার মনেও শুধু রিক্ততা ।


বুঝিলাম অবহেলা দিয়েছে আঘাত
পারেনি সে সহিতে নিদারুণ মর্মাঘাত
তাই মোরে করিল সে দূর
শূন্য হৃদয়ে চলে গেল বহুদূর ।
এখন আমি ভাবি বসে
বেদনার বালুকাবেলায়
অভিমান আর অবহেলায়
কত কি হতে  পারে এ ধরায় ।
আমি নিজেই বুঝিনি নিজেরে
দুদিনের  খেলা ছিল ভেবেছিলুম যারে
সেই দিল নিদারুণ আঘাত মোরে ।


হায়রে হায়! বড় অদ্ভুত মানব মন
সময় থাকতে কেন সে হয় না সচেতন ।
কল্পনা ভেলা ভাসিয়ে  চলে সে জীবন পথে
নিয়তির আঘাত ঠেলে দেয় তাকে বাস্তবের  দিকে ।