এখন অকারণেই বসে থাকি, বহু-বহু সময়
যখন নির্জনের নিজস্বতা
          মায়া ছড়িয়ে রাখে নিভৃতলোকে।
দূর দূরান্তেও নৈঃশব্দের প্রচ্ছায়া
   অলৌকিক ডানায় হেঁটে যেতে পারি
                    কয়েক যোজন পথ।
তবুও অলসতা আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে থাকে
তবুও নিরস্ত রাখে, নিশ্চুপ থাকে সময়ও ।


কখনও বা শব্দরা ছুটে চলে, যদিও
          মুখ বুজে থাকে সোহাগী নদী
          চঞ্চল ঢেউও স্তিমিত হয়ে আসে
          পাখিরাও বিনা শব্দে কোটরে ফেরে
          আবার নিস্তব্ধতা গ্রাস করে তীব্রভাবে।


হয়ত এসবই চেয়েছি
             অজান্তে
হয়ত এ নীরব সন্ন্যাসেই
          বিছিয়ে রাখা থাকে মেঘলা মন
অবুঝ শিশিরের মতো।


মায়াহীন সংলাপে ঝাঁপ দিয়ে কী হবে
বরং এ একাগ্র নির্জনে রেখে যাই আমার পূর্ণ সমগ্রতা।