একটা ছোটো খাতা বর্ণিল আগামীর অপেক্ষায়
কিছু পাতা...তখনও সাদা,
পাতায় পাতায় সে ছিল কখনো না বলা আমার কিছু কথা!
লিখতে তো চেয়েছি বার বার...
হয়তো কখনও হয়ে ওঠেনি কবিতা!
নির্ঘুম রাতে কখনো বা ভেজা বসন্ত এলে কখনো বা সাজা,
কথার 'পরে জমে কথা বেড়েছে শুধুই খাতার বোঝা!
কথাদের ঠাসাঠাসি ভিড় অন্তরে কে যেন গুমরে মরে,
দীর্ঘ শ্বাসের হাঁসফাঁস চিরে...জানি না হঠাৎ কেমন করে
আস্থা শুধুই তাঁর নির্দেশ 'পরে,
কবিতার ঘরে আমার প্রবেশ কথাদের হাত ধরে!


এ যে মিলনমেলা,
কবিদের হৃদয় উৎসারিত শব্দঝংকার...
মুক্তো ঝরানো হাসিতে যেন সোনার মা বাংলা,
এপার ওপার...মিলেমিশে একাকার!
এ যেন বেলাশেষের শঙ্খের সুর যেমন জুড়ায় জ্বালা,
যেন পরম বন্ধুর হাতটি ধরে আবার শুরু পথ চলা!


বিনি সুতোয় গাঁথা আছে সহস্র কবি হৃদয়...
প্রতিযোগিতায় নয় সম্পর্ক এখানে পড়েছে বাঁধা
পরম আত্মীয়তায়!
জীবন এখানে অনুভূতিময় মুক্তোর খোঁজে ডুব দিতে হয় বোধের অতলতায়!
এখানে, মানুষের জাত একটাই...কবি
ধর্ম এখানে...কবিতা,মানুষ ভাবে মানুষের জন্য
সেই তো শেষ কথা!
থাকনা দূরে বাস্তবের জটিলতা
বাস্তবকে তবু থাক ছুঁয়ে
কল্প ডানায় চেপে মন যেমন খুশি ওড়ে!
এ যেন রুদ্র বৈশাখের খরতাপের জ্বালায়
বর্ষার রিমঝিম শীতল ছোঁয়া,
অনেকটা না পাওয়ার মাঝে
একটুখানি নিজের করে পাওয়া...
নতুন করে আবার বাঁচতে চাওয়া!