(সবার প্রিয় কবি মনোজ ভৌমিকের গতকালকের ভূত বিষয়ক কবিতা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ভূত নিয়ে আমার ক্ষুদ্র প্রয়াস!এই লেখাটি তাকেই উৎসর্গ করলাম!অনেক ধন্যবাদ জানাই প্রিয় কবিকে!)



শেওড়া গাছের ডালে ভূত-পেত্নী দোলে
খুনসুটি আর গালগল্পে রাত্রি বয়ে চলে!
নিঝুম নিশি মন পিয়াসী প্রাণের কথা বলে
পেত্নী হাসে খিলখিলিয়ে পড়ছে যে টোল গালে!
করছে দুজন স্মৃতিচারণ,ছিলাম যখন মানুষ
হাজার বারণ নিষেধ মানায় ওড়েনি প্রেমের ফানুস!
জাতের ভেদে সমাজ সেদিন সেই যে পিছু নিল
নিষ্ঠুর ওই ফাঁসিকাঠে চরম শাস্তি দিল!
জীবন থেকে মরণ ভালো তাই না প্রিয় বল
অপূর্ণ ওই সাধগুলো সব পূরণ করি চল!
চল না ধরে জগাটারে ঠেঙিয়ে সিধে করি
সুরার নেশায় বউ পিটিয়ে দেখায় বাহাদুরী!
বস্তিবাসী অভুক্তদের খাওয়াই প্রাণটা ভরে
পথের যতো কচিকাঁচার জীবন দেব ভরে!
লুটছে যারা দিবানিশি করছে ছল কপট
মিশিয়ে দেব ধূলার 'পরে ওদের মিছে দাপট!
ফিরিয়ে দেব সাধারণের বঞ্চিত অধিকার
জাত ধর্মের বিভেদ যতো থাকবে না তো আর!
কন্যাশিশু নারীর মনে শক্তি জোগাই চল
গুঁড়িয়ে দেব দাঁত আর নখ মরবে হায়নাদল!
কামার্ত সব নরপশু ঘুরছে দলে দলে
মটকে দেব ঘাড়গুলো সব সামনে ওদের পেলে!
কোটি কোটি মানুষের ভিড়ে মানুষ ক'জন বল
হিংসা বিবাদ হানাহানি জগৎ জুড়ে ছল!
চাই না রে আর মানুষ হতে এই আছি বেশ ভালো
রুখবে কে আর আজ আমাদের চল না মুছি কালো!
রাত্রি শেষে ঘুমের দেশে ভূত-পেত্নী চলে
ওই দিকেতে পূবের কোণে অরুণ এলো বলে!