স্বামী-সন্তান কেন্দ্রিক বৃত্তের বাইরে পা রাখে সমর্পিতা...
শরতের নরম ভোরে শিউলির সাথে একান্ত মুহূর্ত
ও তখন ভীষণ স্বার্থপর আঁচলবন্দী সময়ের সাথে!


মৌনতা ওর দুর্বলতা নয় প্রতিবাদী হতে জানে সমর্পিতাও...
ডাইরীর থেকে ভালো সাক্ষী আর কে হতে পারে?
অনুভব ইচ্ছে ক্ষোভ যন্ত্রনা এমনকি টুকরো খুশি
স...বটা বহন করার ভার যে ওকেই দিয়েছে সমর্পিতা।


অস্তিত্বের ওপর ধুলোর আস্তরণ...
সময় সুযোগের মেলবন্ধন ঘটলে
অস্তিত্বের গা থেকে ঠিকরে বেরোতেই পারে দ্যুতি।
সে কথা বোঝে মিতিনের অংক খাতার শেষের দু'পাতা।
বেশ কয়েকটা লাইন কাটাকুটির পর
চমকে দেওয়া শব্দের গাঁথুনি বাকি চার লাইনে!
অবশ্য মিতিনের বোধের স্তরে উন্নীত হওয়ার আগেই পাতাগুলো ঠোঙার অবয়বে হাতবদলের ঠিকানায়।


ইচ্ছে পাখায় রঙ মাখাতে তারও ইচ্ছে হয়...
রোজ সকালে ব্যালকনিতে ধরা দিলে একফালি রোদ,
নিয়ম করে তার সবটুকু মেখে নিতে ভোলে না সমর্পিতা!
বর্ষার প্রথম বৃষ্টিও তাকে ভিজিয়ে দিতে ভোলে না...
আভাস পেতেই এক ছুটে ছাদে পৌঁছে যায় সমর্পিতাও!