অভাব যখন থমকে দাঁড়ায়
অভাগিনীর দ্বারে,
হাতটি তখন বাড়ায় সুযোগ
বেঁচে থাকার তরে!
বলবে সমাজ জ্ঞানের কথা
থাকবে না কেউ পাশে,
পেটের জ্বালায় ধুঁকছে স্বজন
বাঁচবে সর্বনাশে!
হাজার জ্ঞানে পেট ভরে না
আত্মহত্যাও পাপ,
বরাদ্দ ওই শাস্তি জীবন
করবে নাতো মাফ!
একটিবার পা বাড়ালে
সর্বনাশের পথে,
সমাজ কেন স্বজনও তখন
থাকবে না কেউ সাথে!
ওদের চোখের জলে তবু
ভাসতে চাইনা আমি,
হারালে আমি বাঁচবে ওরা,
সেটাই বড় দামি!
একটি জীবন অবশেষে
হারায় আঁধার পথে,
অনেকটা সুখ বোঝাই করে
ওদের জীবন রথে!
আঁচড় কাটে নীল বেদনা
বাকি জীবন জুড়ে,
রক্তে লেখা জীবন গাঁথা
শুধুই কেঁদে মরে!
পাথর চাপা যন্ত্রণারা
কাঁদে অন্তরালে,
তলায় শত অভাগিনী
আঁধারের অতলে!
যাদের তরে বিকিয়ে দিলাম
শ্রেষ্ঠ ভূষণখানি,
তারাই আমায় নষ্ট বলে
বলে কলঙ্কিনী!