যে মেয়েটা বিষধরের বিষ ছোবলে
বিষাক্ত হয় রোজ...
সে কি বোঝে স্বাধীনতার মানে?


দরিদ্র পিতার অভাগী কন্যা
জন্ম নিয়েই যেন পাপ করেছে,
আজ কোনো ঘরের গৃহবধূ
বাকি রাখা পণের কারণে নির্যাতিত হয় রোজ...
সে কি জানে স্বাধীনতার মানে?


অর্ধেক পেট ভরাতে যে কিশোরকে
মার খেতে হয় রোজ...
সেও কি জানে স্বাধীনতার মানে?


যে শিক্ষিত বেকার যুবক
ঘরে-বাইরে লাঞ্ছিত হয় রোজ...
সে কি বোঝে স্বাধীনতার মানে?


কে জানে...!


এখানেই শেষ নয়
বলতে গেলে অ...নেক বলতে হয়!


"ঘরের খেয়ে বোনের মোষ তাড়ানো"-তে
বোধকরি কেউই বিশ্বাসী নয়!
তার চেয়ে বরং বেঁচে থাক স্বাধীনতা...
ছুটির আনন্দে,কবিতার ছন্দে!
পুষ্পে-নাচে-গানে,আভিধানিক শব্দের ঠাস বুননে
নেতা-নেত্রীর ভাষণে,আনুষ্ঠানিক পতাকা উত্তোলনে!


তবু আজও মনে হয় কখনো...
পড়ন্ত গোধূলি বেলায়,
নতুন সূর্য উঠবে আবার নতুন দিনের প্রভাতে
জ্বলবে লক্ষ আকাশ প্রদীপ...বিগত শেষ রাতে!
বাঁধা পড়ে যাবে স্বাধীনতা,চিরতরে
প্রতিটি দেশবাসীর স্বাধীন মন ও প্রাণে,
বুঝবে সবাই স্বাধীনতার মানে!


মন তবু বলে....
আসবে আবার নতুন সে দিন
আসবেই ঠিক আসবে,
"ভারত আবার জগত সভায় শ্রেষ্ঠ আসন ল'বে"!