চতুর্ভুজ প্রেমিকা
মোজাম্মেল সুমন


সুন্দরী চার মেয়ে প্রেমে পড়েছে আমার,
আমি থামাতে চাইলেও সম্ভব হয়নি থামার।
থাক কি আর করার, আমিও চুপটি করে,
চার সুন্দরীকে ভালোবেসে রাখি মনের ঘরে।


সত্যিই দারুণ যে আমার ভাগ্যের রেখা,
সকালেই ওদের একজনের সাথে দেখা।
অনেকটা এক পাক্ষিক প্রেমের মতো,
সে আমাকে অনবরত ভালোবাসে কতো!


আবার যখন সময়টা বিকেল হয়,
আরেকজন কাছে এসে কথা কয়।
আমি তার থেকে যতো থাকি দূরে সরে,
সে ততোই আমাকে টেনে রাখে ধরে।


গোটা দিনটা ফুরিয়ে সন্ধ্যা আসে যখন,
আরেক বোনের প্রেমের ধান্ধা বাড়ে তখন।
আবছায়া আলোয় সে তাকিয়ে থাকে,
বারেবারে আমায় ভীরু লাজে কাছে ডাকে।


কোনোমতে এভাবে দিনটা কেটে গেলে,
রাত্রিতে অন্য রকমের ঘটনা ঘটে মেলে।
ওরা সবাই আমাকে চায় পুরো রাত্রি,
আমিও কৌশলে মানাই একলা যাত্রী।


সকালে জয়া মেয়েটির আলিঙ্গনে থাকি,
আমিও গভীর ভালোবাসায় তাকে ডাকি।
ভালোলাগা থেকে কখনো পিছু ছাড়েনি,
তবে তার প্রতি তেমন ভালোবাসা বাড়েনি।


সাদিয়া মেয়েটি আসতো বিকেল হলে,
আমাকে লুকিয়ে রাখতো ওড়নার তলে।
একতরফা প্রেমোত্তাপ নিয়ে হতো হাজির,
কোমল স্পর্শে যেতে দিতো নাকো বাহির।


হেনা নামের মেয়েটি আসতো সন্ধ্যে,
মনপ্রাণ ভরাতো মাতাল প্রেমের গন্ধে।
আগ্রহ নিয়ে আমার কাছে আসে বেড়াতে,
কোনোভাবে পারি নাকো তাকে ফেরাতে।


কাকে ছেড়ে কাকে রাখি মায়াবী রাতে,
জয়া সাদিয়া হেনা সবাই আমাতে মাতে।
তিনজনকে সচেতনতার কৌশলে তাড়াই,
নিজেই নিজের প্রতি ভালোবাসা বাড়াই।


আমি অন্ধ ছিলাম তাদের ভালোবাসায়,
তাই পড়েছিলাম তাদের আলোছায়ায়।
তাদের সাথে হয়েছে আমার ছাড়াছাড়ি,
ভালোবাসা নয়তো কোনো কাড়াকাড়ি।


তাদেরকে এখন খুব মিস করি সুন্দর ভবে,
জয়া সাদিয়া হেনা তিনজনই সুন্দরী তবে।
ওরা চলে যেতে না যেতেই নতুন করে,
আরেকটা মেয়ে হঠাৎ আমার প্রেমে পড়ে।


এই মেয়েটা ওদের চেয়েও রুপসী লাগে,
আমার প্রতি তারও ভালোবাসা জাগে।
ভেবেছিলাম জরাবো নাকো প্রেমে কারো,
অথচ মেয়েটির জন্য ফিদা হয়েছি আরো।


এই মেয়েটির নাম কাকলি, দারুণ ঢং,
যেনো ষোড়শী যুবতী পুষ্পকলির রং।
তার সুগভীর চাহিদা আমায় কাছে পেয়ে,
সে খুব আলাদা জয়া সাদিয়া হেনার চেয়ে।


অবশ্য জয়া সাদিয়া হেনা আসতো দিনে
কাকলি সুযোগ বুঝে আসে অনুমতি বিনে।
সে আমায় অন্যরকম ভালোবাসে জানি,
আমার কাছে গভীর রাতে আসে হতে রানী।


আমি সিংগল রুমে থাকি আমার মতো,
কাকলি জেনে গেছে, সমস্যা বাড়ে যতো।
কেমন করে জানি দরজা খুলতে পারে,
মাঝরাতে তার জ্বালাতে বিরক্ত বাড়ে।


আমি রাতে ঘুমাই যখন চুপচাপ করে,
হঠাৎই ঘুম ভাঙ্গে তার প্রেমাদরের তরে।
সে ভালোবাসে আমায় প্রতিটা নিঃশ্বাসে,
কষ্ট হয় এমনটার সত্যি সত্যিই বিশ্বাসে।


কাকলি বলে সারাদিন আসিনি কাছে,
আদর সোহাগে ভরাবো আমার যা আছে।
আমি যুবক, যৌবনটা মহাসমুদ্রে ভাসে,
কাকলির সাথে মহামিলনে সকাল আসে।


কাকলি আসলে কাকলি নয়, বলছি শোনো,
কাকলি বলতে কাশি, সন্দেহ নেই কোনো।
জয়াকে বুঝিয়েছি জ্বর, সাদিয়ায় সর্দি তাই,
হেনা বলতে হাঁচি, আমার বলার কিছু নাই।